কুমিল্লার জেলা ব্রান্ডিং হিসেবে পর্যটনকে নির্বাচিত করা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা জেলা ব্রান্ডিং, কিশোর বাতায়ন প্রতিযোগিতা এবং হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট মিডিয়ার অনুষ্ঠান ‘উদ্ভাবকের খোঁজে’ বিষয়ক প্রেস ব্রিফিং করেছে কুিমল্লা জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিস। সোমবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম। জেলা প্রশাসক বলেন, কুমিল্লা একটি ইতিহাস ঐতিহ্যের জেলা।
কুমিল্লার জেলা ব্রান্ডিং হিসেবে পর্যটনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে জেলায় বছরে দুই সহস্রাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। জেলায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে। এখন প্রতিবছরে কুমিল্লায় দেশের ৮০ হাজার এবং বিদেশি একশ’ পর্যটক আসছে। সেটাও বছরে ৫০ভাগ করে বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের মাঝে অবস্থিত কুমিল্লায় পর্যটনের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে কুমিল্লাকে একটি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
এখানে একটি তিন তারকা মোটেল স্থাপন করা হবে। রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নসহ পর্যটন স্থাপনার সংস্কার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, শালবন বিহার, বিজয়পুর মৃৎশিল্প, বীরচন্দ্রনগর মিলনায়তন, ধর্মসাগর, নানুয়ার দিঘি, শাহসুজা মসজিদ, ওয়ার সিমেট্রি, রূপবান মুড়া, কুটিলা মুড়া, চন্ডিমুড়া, আদিনা মুড়া, নবাব ফয়জুন্নেসার বাড়ি, পূবালী চত্বর, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী-বার্ড, শচীন দেব বর্মণের বাড়ি, খাদি শিল্প, রসমালাই ইত্যাদির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা সরকারি রেজিস্ট্রেশন বিহীন কুমিল্লার রসমালাই, শালবন বিহার এলাকায় ছিনতাই এবং শালবন বিহার প্রবেশ পথে খানাখন্দ ও উপজেলা ভিত্তিক বিভিন্ন উপজেলার পুরাতন জমিদার বাড়ি, শত বছরের মসজিদ ও মন্দিরসহ ঐতিহাসিক স্থানগুলো সংরক্ষণের আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, কুমিল্লার রসমালাইয়ের ঐতিহ্য রক্ষার্থে মূল মাতৃভাণ্ডারকে সরকারি রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনতে চেষ্টা করেছি। তবে মালিক পক্ষের কাছ থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া পাইনি। শালবন বিহার এলাকায় ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া শালবন বিহারে প্রবেশ সড়কের বেহাল দশার ব্যাপারে আমরা সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা বলবো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকদার, কুমিল্লার সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মীর হোসেন আহসানুল কবীর, জেলা শিক্ষা অফিসার মো: আব্দুল মজিদ ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম প্রমুখ।