বুড়িচংয়ে পুলিশের দিকে তাকানোর অপরাধে যুবককে মেরে আহত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার বুড়িচং থানার এস আই আবু বক্করের দিকে তাকানোর অপরাধে উপজেলার চড়ানল গ্রামের নায়িবুল (২৪) নামে ইতালী ফেরৎ এক যুবক’কে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত ও মেরে আহত করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটছে গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় চড়ানল গ্রামের বড় বাড়ী মসজিদের সামনে।
আহত যুবক ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চড়ানল গ্রামের তমিজুল হকের ছেলে মোঃ নায়িবুল (২৪) তাঁর বাড়ীর সামনে রাস্তার পার্শ্বে মসজিদের ঘটলায় বসে ছিল। এসময় পার্শ্ববতী এলাকার মোঃ হোসেনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী রুবেল (৩০) কে অন্যত্র থেকে আটক করে বুড়িচং থানার এস আই আবু বক্কর সিএনজি যোগে পুকুর পাড়ে আসে। পুলিশ ও মাদক ব্যসায়ীর মধ্যে রফাদফার ঘটনাটি নায়িবুল পুকুরের ঘটলায় বসে দেখছিল। এসময় পুলিশ নায়িবুল’কে পুকুরের ঘটলা থেকে চলে যেতে বলে। নায়িবুল পুলিশের কথা না শুনে তাদের কর্মকান্ড দেখছিল। এতে পুলিশ নায়িবুলের উপর চাড়াও হয় এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করার জন্য বলে। নায়িবুল বলে আমি আমার বাড়ীর সামনে আছি, আর কোথায় যাব। এসময় এস আই আবু বক্করসহ দু’তিন জন পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে নায়িবুলকে চর থাপ্পর মারতে থাকে, পুলিশের আঘাতে নায়িবুল মাটিতে লুটিয়ে পাড়ে। স্থানীয় তাহিজ উদ্দিনসহ কিছু লোকজন ঘটনাটি দেখতে পেয়ে দৌড়ে এসে পুলিশের হাত থেকে নায়িবুলকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ টাকার বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ী রুবেল’কে ছেড়ে দিয়ে চলে আসে।
এ ঘটনাটি নায়িবুলের বড় ভাই প্যারাডাইস গ্রুপের মার্কেটিং ম্যানেজার এ.কে আজাদ মোবাইল ফোনে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মনোজ কুমার দে এর নিকট অবহিত করলে তিনি বিষয়টি সমাধান করে দিবেন বলে জানান। এ বিষয়ে এস আই আবু বক্করের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ওয়ারেন্ট ভূক্ত কিছু আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য ওই এলাকায় গেলে, নায়িবুল পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান করে। এতে তাঁর সাথে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অনুরোধে তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়, অন্যথায় আটক করে থানায় নিয়ে আসা হতো।
নায়িবুলের বড় ভাই এ.কে আজাদ জানান, তাঁর ভাই ছোট থেকেই ইতালীতে বড় হয়েছে, সে ইতালীর নাগরিত্ব পেয়েছে, সে ভাল ভাবে বাংলায় কথাও বলতে পাড়ে না। সর্বশেষ ৭ বছর পর গত আগষ্ট মাসের ২৫ তারিখে দেশে এসেছে। পুলিশের অসৎ কর্মকান্ড দেখে ফেলায় পুলিশ তাঁকে অন্যায় ভাবে মারধর করেছে।