স্ট্রীট লাইটের আলোয় আলোকিত তিতাসের সড়কগুলো
রাতের গ্রামীণ মেঠোপথ মানেই ভয়ে ভয়ে চলাফেরা। সন্ধ্যা নামলেই গ্রামের রাস্তাগুলো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তিতাস উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের মেঠোপথগুলো সন্ধার পরেই কুচকুচ অন্ধকার হয়ে পড়তো। অপরাধের স্বর্গরাজ্য হিসেবে খ্যাত মাছিমপুর- কদমতলী ব্রিজের পাশেসহ পুরো বাতাকান্দি- রায়পুর সড়কে বসানো হয়েছে স্ট্রীট লাইট। সেই রাস্তাঘাটগুলো এখন স্ট্রিট লাইটের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যা নামলেই বাতিগুলো জলে উঠায় সড়ক, গ্রামের মেঠোপথগুলো শহরের রাস্তার মত পরিণত হয়েছে।
কুমিল্লা -২ আসনের সংসদ সদস্য সিআইপি সেলিমা আহমাদ মেরী’র নির্দেশে তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ হোসেন সরকার সরেজমিনে উপস্থিত থেকে বাতাকান্দি-মাছিমপুর- রায়পুর সড়ক আলোকিত করার লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি অপরাধপ্রবণ এলাকা মাছিমপুর /কদমতলী ব্রিজ এর পাশে এবং কদমতলী আলীনগর সংযোগ সড়কে স্ট্রীট লাইট স্থাপন করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে সংসদ সদস্য এর নির্দেশনায় এই সড়কে আরো ৬টি স্ট্রীট লাইট স্থাপন করা হবে।
স্ট্রীট লাইট স্থাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ হোসেন সরকার, তিতাস থানার ওসি ( তদন্ত) ইন্সপেক্টর মোঃ শহিদুল ইসলাম, নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সালাহ্উদ্দিন আহমেদ, ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে জহিরুল ইসলাম, সাংবাদিক হালিম সৈকত, এসএ ডিউক ভূইয়া, অরুণ দাস সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ হোসেন সরকার বলেন, কুমিল্লা-২ ( হোমনা-তিতাস ) আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী’র উদ্যেগে উপজেলার গ্রামীণ জনপদের সড়ক, মেঠোপথগুলোতে স্ট্রিট লাইট বসানোয় উপজেলার মেঠোপথগুলো হয়ে উঠেছে আলোকিত। প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া ও গ্রাম হবে শহর এই অঙ্গীকার এখন গ্রামীণ সড়কগুলো সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। এমপি মহোদয়ের প্রচেষ্ঠায় উপজেলার সকল ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদের সড়ক, মেঠোপথগুলোতে স্ট্রিট লাইট বসানোয় এই জনপদের মানুষ ও সাধারণ যাত্রীরা রাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। সেই সাথে রাতে চলাচলকারী যাত্রীরা চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধীর হাত থেকে রক্ষা পাবে।