কুমিল্লায় ১৯ জুন থেকে ৪টি ওয়ার্ডে লকডাউন

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৪টি ওয়ার্ডকে লকডাউন করা হচ্ছে। ওয়ার্ডগুলোতে আগামী ১৯ জুন রাত ১২টা থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নগরীর ৩, ১০, ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ডে আগামী ১৯ জুন রাত ১২টা থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে।
এ সময় জরুরি সেবার অংশ হিসেবে হাসপাতাল ছাড়া বাকি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এমনকি কোন ডাক্তারও ব্যক্তিগত চেম্বার খোলা রাখতে পারবেন না লকডাউন এলাকায়। তবে ওষুধ ও মুদি দোকান খোলা থাকবে।
সভায় জানানো হয়, লকডাউনে থাকা ওই চারটি ওয়ার্ডের অসহায় পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসন ১০ কেজি করে চাল দেবে। এছাড়া তেল, ডাল, পেঁয়াজসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী দেবেন সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। আর ডিসি অফিস থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের কার্ড দেয়া হবে। লকডাউন চলাকালে সার্বক্ষণিক পাহারা দেওয়ার বিষয়টি স্ব-স্ব এলাকার কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
লকডাউনের আওতায় থাকা এলাকায় শুধু এটিএম বুথের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করা যাবে। কোন প্রকার ব্যাংক বিমা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে না।
জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর জানান, লকডাউনে থাকা এবং নগরীর অন্যান্য এলাকায় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করবেন।
এছাড়াও পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ও করা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, সেনাবাহিনীর সাথে র্যাবের যৌথ সমন্বয় থাকবে।
এদিকে, নগরের অন্য এলাকায় কেন লকডাউন করা হবে না এমন প্রশ্নের জবাবে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করেছি। তারা বলেছেন বেশি আক্রান্ত এলাকাগুলো লকডাউন করা হলে করোনা সংক্রমণের হার কমতে পারে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে হয়তো পরবর্তীতে অন্য এলাকা লকডাউন করা হবে।
সভায় করোনা আক্রান্ত ও রোগীর বিষয়ে ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. মো. মজিবুর রহমান ও জেলার করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান, ৩১ বীরের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহবুব আলম, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মীর শাখাওয়াত হোসেন, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা।