কুমিল্লায় কোরবানির পশুর চামড়ার গড়মূল্য ৩০০

ক্রেতা না পেয়ে অনেকেই স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দান করেছেন কোরবানির পশুর চামড়া। তবে, দাম না পেয়ে সেই সব চামড়া গড়ে ৩শ’ টাকা করে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কোরবানির ঈদের দিন বিকেলের পর থেকে এমন চিত্রই দেখা গেছে কুমিল্লায়।

কোরবানি দেয়ার জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছিলেন নগরীর আবদুস সামাদ। তার প্রতিবেশী ইয়াকুব মিয়া কিনেছিলেন ৭৫ হাজার টাকায়। ঈদের দিন (১ আগস্ট) কোরবানি শেষে গরুর চামড়া দিয়ে দেন স্থানীয় মাদ্রাসায়। গত বছরের মত এ বছর তাদের পশুর চামড়া গোমতী নদীতে ফেলে দিতে হয়নি এতেই স্বস্তি আবদুস সামাদ ও ইয়াকুব আলীর।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালখড়পাড় হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. খোরশেদ আলম জানান, গতকাল (১ আগস্ট) পশু কোরবানির পরে ক্রেতা না আসায় অনেকেই মাদ্রাসায় চামড়া দান করেন। তারা ১৫৭টি চামড়া পেয়েছিলেন বলে জানান। রাতে পাইকার এসে গড়ে ৩১০ টাকায় সব চামড়া কিনে নিয়ে যান।

সদর উপজেলার যশপুর গ্রামের আলী আক্কাস। তিনি কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চামড়া কিনেছেন। আলী আক্কাস জানান, তিনি তার ট্যানারির জন্য চামড়া কিনেছেন। সদর ও লাকসাম থেকে অন্তত ১০ হাজার পিস চামড়া কিনেছেন তিনি। আর চামড়া সংরক্ষণের জন্য সাড়ে ৪ লাখ টাকার লবণও সংগ্রহ করেছেন তিনি।

কুমিল্লা ঋষিপট্টির চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রতন ঋষি জানান, এর আগে সিন্ডিকেটের থাকায় চামড়া কিনে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে এবার সিন্ডিকেট নেই। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার চাহিদা কম। তাই দামও কম। গড়ে ৩শ’ টাকা করে তিনি ৬শ’ চামড়া কিনেছেন। তার মতো আরও অন্তত ১০/১২ জন চামড়া ব্যবসায়ী গড়ে ৩শ’ টাকায় চামড়া কিনেছেন।

আরো পড়ুন