নাঙ্গলকোটে ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করুন দশা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সংকট

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এখন করুন দশার মধ্যে কুড়িয়ে কুড়িয়ে চলছে। সংকট রয়েছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের। পৌর সদরের মধ্যে এই হাসপাতালটি অবস্থিত । এই হাসপাতালটির স্বাস্থ্য সেবার মান খারাপ হয়ে উঠেছে। এখানে রয়েছে প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন। এ উপজেলায় প্রায় ৫ লাখ নাগরীকের বসবাস। কিন্ত নানান সমস্যার কারনে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। আর স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলছেন লোকবল সংকটের কারনে পুরো সেবা দিতে পারছেন না তারা। এই উপজেলার থেকে জরুরি সেবা পেতে হলে সাধারন রোগিরা অতিরিক্ত টাকা খরচ করে যেতে হয় কুমিল্লা বা রাজধানীতে । যা দরিদ্র রোগিদের পক্ষে অসম্ভব। আর অর্থের কারনে সময়মত চিকিৎসা সেবা না পেয়ে জীবন দিতে হয় যাতায়াত পথে তাদের। এ্যাম্বুলেন্স চালক মারা যাওয়ার কারনে দীর্ঘ এক বছরের অধিক সময় ধরে এ্যাম্বুলেন্স সেবা পাচ্ছেন না তারা। অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে প্রাইভেট হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সে করে বাধ্য হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হয় তাদের। যোগ যোগ ধরে বিকল হয়ে আসে এক্স -রে মেশিনটি। কর্তৃপক্ষের নিরবতায় এক্স -রে-সেবা না পেয়ে দিশেহারা রোগিরা। তারা অভিযোগ করে বলেন- অতিরিক্ত টাকা খরচ করে প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে এক্স -রে – করাতে হচ্ছে তাদের।
গত ২০০৫ সালে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য হাসপাতালটি বর্তমানে ৫০ শয্যায় উত্তীর্ণ হয়েছে। ওই সময় প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয়ে একটি হাসপাতাল ভবন ও কয়েকটি আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়। ২০০৫ সালের শেষদিকে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। চিকিৎসা নিতে আসা দরিদ্র রোগি রতন, শরীফ ও আসমা, রিনা বলেন , অন্তঃসত্ত্বা, আঘাতপ্রাপ্ত বা হাড়ভাঙা রোগীরা এ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এলে এক্স-রে ও ইসিজি মেশিন চালু না থাকায় বাধ্য হয়ে পাশেই বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে এসব পরীক্ষা করাতে হচ্ছে তাদের । এ সুযোগে রোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয় ওই ক্লিনিক ব্যবসায়ী ও একটি দালাল চক্র। অপরদিকে রয়েছে অপারেশন থিয়েটার। গত ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অপারেশন থিয়েটার চালু করা হয় এখানে । সংকট রয়েছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, জুনিয়র কনসালটেন্ট(সার্জারি ),জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজী), জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থ – সার্জারী), জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (যৌন ও চর্ম), জুনিয়র কনসালটেন্ট (এ্যানেসথেসিয়া) ।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবদাস দেব বলেন, হাসপাতালের বড় সমস্যা হলো, লোকবল সংকট। সকল সমস্যার বিষয়ে লিখিত ভাবে উধর্বতন কর্মকর্তাদেরকে জানানো হয়েছে। তবে চিকিৎসা সেবা থেকে কেউ বি ত হচ্ছেন না।