কুমিল্লায় আদালত কক্ষে খুনের ঘটনায় ঘাতক হাসানের ফাঁসির আদেশ
কুমিল্লায় আদালত কক্ষে বিচারকের উপস্থিতিতে হত্যা মামলার শুনানি চলাকালে এক আসামি অপর আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় ঘাতক হাসানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আতাবুল্লাহ এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (এপিপি) মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের হাজী আবদুল করিম হত্যা মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিলো ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই। বেলা ১১টার দিকে এ মামলার আসামিরা আদালতে প্রবেশ করছিলেন। এমন সময় ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করে ৮ নম্বর আসামি হাসান। প্রাণভয়ে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে যান। পিছু ধাওয়া করে হাসানও খাস কামরায় ঢুকে ফারুককে টেবিলের ওপর ফেলে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাকে বিচারকের খাস কামরার মেঝেতে ফেলেও ছুড়িকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত ফারুককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসময় এ ঘটনায় উপস্থিত বিচারক, আইনজীবী ও অন্য আসামিরা আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এদিকে আদালতের পুলিশ, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা হাসানকে ধরে ফেলে।
নিহত ফারুক (৩০) পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের ওয়াহিদুল্লার ছেলে এবং ঘাতক হাসান (২৫) লাকসাম উপজেলা ভোচপাড়া গ্রামের মৃত শহীদুল্লার ছেলে।