গোমতী চরের সাধারন কৃষকের কৃষি জমি নষ্ট করতে দেওয়া হবে না – এমপি বাহার
গোমতী নদীতে এখন আর কারো ইজারা নেই। গত চৈত্র মাসেই ইজারা বাতিল হয়েছে। বৈশাখ মাস থেকে যারা বালু তুলছে তারা সবাই অবৈধভাবে দখল ও বালু তুলার নামে অসহায় কৃষকের ফসলী জমি জোর করে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সেজন্য গোলাবাড়ি জিরো পয়েন্ট থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত গোমতী নদীর সকল ড্রেজার ও এস্কাভেটর ধংস করার জন্য জেলা প্রশাসনকে মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন কুমিল্লা কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
এমপি বাহার বলেন, বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার সাথে যত মক্তিশালিরাই জড়িত থাকুক কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। গোমতী নদী রক্ষা ও গোমতী চরের আমার সাধারন কৃষকের কৃষি জমি নষ্ট করতে দেওয়া হবে না। মাটি কেটে এবং বালু তোলে কৃষি জমির উপর রেখে কৃষকের ফসল উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা এখানে ফসল উপাদন করতে পারছে না। এ সময় এমপি বাহার মোবাইল ফোনে জেলা পট্রশাসন মোঃ কামরুল হাসানের সাথে কথা বলেন এবং গত সোমবার মোবাইল কোর্ট করে অবৈধ ড্রেজার মেশিন ধংস করা জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে সকল ড্রেজার, ভ্যাকু মেশিন ও ইঞ্জিন নৌকা ধংস করার জন্য বলেন। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর মুন্সেফবাড়ি কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গোমতী নদীতে কোন বালু নেই। সেজন্য আমি গত বছর কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীরকে ইজারা বন্ধ করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিতে বলেছিলাম। তৎকালীন ডিসির ওই চিঠির পরিপেক্ষিতে গোমতী নদীর বালু মহালের ইজারা বাতিল করে ভূমি মন্ত্রণালয়।
পহেলা বৈশাখ থেকে গোমতী নদী থেকে বালু ও মাটি কাটার অধিকার কারোর নেই। তারপরেও মাটি কেটে নিচ্ছে কয়েকটি চক্র। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি জেলা প্রশাসক মো: কামরুল ইসলামকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেই। গত সোমবার জেলা প্রশাসন বড় একটি অভিযান চালিয়ে সাতটি ড্রেজার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধংস করেছে। সেজন্য আমি জেলা প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এই অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। যে দলেরই হোক কোন ছাড় নেই। নদীর ভেতর কোন ড্রেজার বা এস্কাভেটর থাকতে পারবেনা। জেলা প্রশাসক কে বলেছি, শুধু ড্রেজার ধংস করলেই হবেনা, তদন্ত কমিটি গঠন করে কারা এইসব ড্রেজার বসিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।