কুমিল্লা ইপিজেডের চায়না কোম্পানির কর্মকর্তা হত্যা মামলায় আরো দুইজন গ্রেপ্তার
কুমিল্লা ইপিজেডের চায়নিজ জুতা কোম্পানি সিং শ্যাং এর এইচআর অফিসার খায়রুল বাশার সুমন হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেয়া কালা ফাহিম ও আল-আমিন নামে আরো দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ রোববার ভোরে কুমিল্লার ভারতীয় সীমান্তবর্তী গোলাবাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা কর্মকর্তা শাহিন কাদির জানান, মূল হত্যাকান্ডে যে কয়জন অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে ফাহিম ও আল-আমিন অন্যতম। ফাহিম দক্ষিণ চর্থার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে, গ্রামের বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলায়। আল-আমিন নগরীর গোবিন্দপুর এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ জানায়, এর আগে গত শুক্রবার সুমনকে ছুরিকাঘাত করা মহিউদ্দিন নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সে-ও দক্ষিণ চর্থা এলাকার আবদুল হকের ছেলে।
এদিকে খায়রুল বাশার সুমনকে হত্যাকারী সকলকে দ্রæত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবীতে মানবন্ধন করেছে তার সহপাঠী বন্ধু ও স্বজনরা। আজ রোববার সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারীরা এই মামলায় অপরাপর আসামীদের দ্রুত সময়ে গ্রেপ্তার করে বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। উল্লেখ্য, ৩০ এপ্রিল বিকেলে কুমিল্লা ইপেজিড এর সামনে ঘাতদের ছ‚রিকাঘাতে মারা যান খায়রুল রাশার সুমন। কোম্পানি থেকে চাকরিচ্যুতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমনকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত করেছে র্যাব ও পুলিশ।