কুমিল্লায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা, লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন
কুমিল্লা শহরতলীর দূর্গাপুরে মনির হোসেন (৪৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর পরিচয় গোপন করে বেওয়াশি হিসেবে লাশ দাফন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার চারদিন পর ওই যুবকের স্বজনরা প্রথমে হাসপাতাল ও পরে থানায় এসে জানতে পারেন অজ্ঞাত পরিচয়ে লাশ দাফন করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ মে) রাত ১১টায় এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নিহতের স্বজনরা।
নিহত মনির হোসেনের ভায়রা দুর্গাপুর উত্তর ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও নিহতের আত্মীয় সালাউদ্দিন জানান, পাওনা টাকার জের ধরে ঘোড়ামারা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে এরশাদ,আজাদ শহিদ ও আরো কয়েকজন মিলে মনির হোসেনকে তুলে নিয়ে গত বুধবার তাদের দোকানের সামনে ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কয়েক দফা মারধর করে আটকে রাখে। এতে তার মৃত্যু ঘটে। আমরা খোঁজাখুজি করে বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ভর্তি রেজিষ্টারে ভর্তি এন্ট্রি থাকলেও রোগী কিংবা তার লাশ পাইনি। রবিবার কোতয়ালী মডেল থানায় ছবি দেখে মনিরকে সনাক্ত করি। জানতে পারি তাকে বেওয়াশি লাশ হিসেবে টিক্কাচর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, নিহত মনিরের বাড়ি শহরের অশোকতলা এলাকায়। সে দূর্গাপুর দিঘিরপাড় এলাকায় শশুর বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। সে নেশাগ্রস্থ ছিল। মোবাইল চুরির অপবাদে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, বিষয়টিতে রহস্য রয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মৌখিকভাবে জানালেও এখনো এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।