কুমিল্লা নিমসার-বরুড়া সড়ক যান চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগ চরমে
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার থেকে পাশ্ববর্তী বরুড়া উপজেলা সদরে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান সড়কটির আড়াই কিলোমিটার অংশে অসংখ্য খানাখন্দক সৃষ্ট হওয়ায় চরম ঝুঁকিতে চলাচল করছে বিভিন্ন শ্রেনীর যানবাহন।
প্রতিদিন এই সড়ক পথে শত শত ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিক-আপ, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, ব্যাটারিত চালিত অটোরিকশা চলাচল করলেও সড়কটি এখন খানাখন্দে ভরপুর। অল্প বৃষ্টিতে খানাখন্দের মধ্যে পানি জমে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের নিমসার বাজার থেকে পাশ্ববর্তী বরুড়া উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি।
নিমসার সংলগ্ন মোকাম, কেদারপুর, পাচকিত্তা, হালগাঁও গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে এই সড়কটি দিয়ে। নিমসার কাঁচাবাজার থেকে তরকারী বোঝাই কমপক্ষে শতাধিক মিনি ট্রাক প্রতিদিন ওই সড়ক ব্যবহার করে জেলার বিভিন্ন স্থানেও যাতায়াত করে।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির বুড়িচং অংশের নিমসার বাজার থেকে কেদারপুর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার অংশের প্রায় পুরোটাজুড়েই অসংখ্য খানাখন্দক সৃষ্ট হওয়ায় যানবাহন চলাচল করছে চরম ঝুঁকিতে। অল্প বৃষ্টিতে সড়কের খানাখন্দে পানি জমে যায়। এতে করে সড়কে চলাচলরত যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কবির আহাম্মদ জানান, সড়কটির মাঝে খানাখন্দক থাকায় প্রায়ই উল্টে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। বৃষ্টিতে পানি জমে থাকায় সড়কটির পাশ দিয়ে পথচারীরা হাটাচলা করতে পারছেনা। দীর্ঘ সময় ধরে এই অবস্থার কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে দুর্ভোগ।
মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুন্সি বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় আছে। গুরুত্বপূর্ন এই সড়কটি দিয়ে চলাচলরত মানুষগুলো চরম দূর্ভোগে আছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন বিধায় সড়কটিতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কিছুই করার নেই। তবে উপজেলা মাসিক সমন্বয়ক কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করবো।
বিষয়টি জানতে চাইলে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজা-ই রাব্বী বলেন, সড়কটি নির্মানে একটি বৃহৎ প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বরুড়া অংশে দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। অর্থসংকটের কারনে আপাতগত কাজটি বন্ধ আছে। আগামী দুই মাসের সড়কটির কাজ সম্পূর্ন শেষ হবে।