বুড়িচংয়ে মা ও ছেলে কে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার আজ্ঞাপুর গ্রামে বিধবা পেয়ারা বেগম(৫২) ও ছেলে নাছির উদ্দিন খান শান্তকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান লিটন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী বিধবা নারী পেয়ারা বেগমের ছেলে জালাল উদ্দিন খান জানান, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের আজ্ঞাপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতা জেরে এবং বাড়ির রাস্তার চলাচল কে কেন্দ্র করে ,(১৮ জুন ২০২১) শুক্রবার সকাল ১১টায় মৃত: শাহআলমের ছেলে নাসির উদ্দিন খান শান্ত বাড়ির রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে হুমকি ধমকি দেয় একই এলাকার মৃত: মুকবুলের ছেলে মিজানুর রহমান লিটন মেম্বার। এতে সে ভয় পেয়ে বাড়ি চলে আসে। এর কিছুক্ষণ পরে আবারও মিজানুর রহমান লিটন ও জাকির হোসেনের ছেলে সফিউল্লাহ তুষারকে সহ কয়েকজনকে নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় । এ সময় তার মা পেয়ারা বেগম ছেলেকে বাঁচাতে গেলে দেশীয় অস্ত্র ও দা দিয়ে মাথায় আঘাত করলে পেয়ারা বেগমের মাথা থেকে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। পরে স্থানীয়রা মা-ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। আহতরা দুজনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। উক্ত ঘটনার বিবরণ জানতে বুড়িচং থানার এসআই বিনোদ দস্তগীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ।
এ বিষয়ে পেয়ারা বেগমের বড় ছেলে জালাল উদ্দিন খান আরো জানান, বাবার মৃত্যুর পর থেকেই আমাদের পরিবারকে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে মিজানুর রহমান লিটন (সাবেক মেম্বার) আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির ধমকি ও অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে। আজ আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার মা ও ভাইকে হত্যার চেষ্টা চালায়। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।
এ বিষয়ে মিজানুর রহমান লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বাকশীমূল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কয়েকবার ইউনিয়নের পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছি। তারা আমার সুনাম নষ্ট ও হেনাস্থা করার জন্য আমাকে জড়িয়ে অপপচার চালাচ্ছে। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত না। ওই মহিলা নিজেই ইট দিয়ে তার মাথা ফাটিয়েছে।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, আমি খবর শুনে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি তদন্তের জন্য এবং আহত পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।