কুমিল্লায় এবার বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ গ্রহণ করেনি বিজিবি
ভারতীয় সীমান্ত থেকে বেলাল হোসেন (৪০) নামের বাংলাদেশি এক যুবকের মরদেহ নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে পতাকা বৈঠক হলেও মরদেহ গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় সেখানেই থেকে যায় বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ।
রোববার (১১ জুলাই) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বীরচন্দ্রনগর সীমান্ত পিলার থেকে ৪০ গজ ভেতরে ভারত সীমান্তের বিলোনিয়ার রাঙ্গামুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
নিহত বেলাল হোসেন উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের মতিয়াতলী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা ১০ বিজিবির আমানগন্ডা সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার সুবেদার জাহাঙ্গীর হোসেনকে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার সকালে ভারতীয় সীমান্তে বেলালের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী সেটি উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন নিহত বেলাল বাংলাদেশি যুবক। এ নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফ মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে পতাকা বৈঠক চলে। ভারতীয় সীমান্তে ঘটনাস্থল হওয়ায় মরদেহ গ্রহণ করতে রাজি হয়নি বিজিবি।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) উগ্যজাই মারমা জানান, মরদেহের খবর পেয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশরা ঘটনাস্থলে যায়। প্রথমে বিএসএফ মরদেহটি বিজিবিকে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া মরদেহ গ্রহণে আপত্তি জানায় বিজিবি। পরবর্তীতে পতাকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারতীয় পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান।
এর আগে গত ৭ জুলাই বাংলাদেশের সীমান্তের চৌদ্দগ্রাম এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বী ভারতীয় অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছিল বিজিবি। তখন মরদেহ বাংলাদেশে এলাকায় থাকায় গ্রহণ করেনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)। পতাকা বৈঠকের সিদ্ধান্তে বেওয়ারিশ হিসেবে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ মরদেহটি গ্রহণ করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ২৪