দেবিদ্বারে বিয়ের প্রলোভনে কবিরাজের বাড়িতে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ
কুমিল্লার দেবিদ্বারে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে ওই উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, শনিবার দুপুরে একই ইউনিয়নের সৈয়দপুরে নিত্য কবিরাজের পরিত্যক্ত বাড়িতে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। গ্রেফতারকৃত শাহিন মিয়া ওই গ্রামের মো. আব্দুর রহিমের ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, শাহিন মিয়া বিয়ের কথা বলে ওই কিশোরীকে একই গ্রামের নিত্য কবিরাজের পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। জালাল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি ধর্ষণের শিকার কিশোরীর চিৎকার শুনে ওই বাড়িতে গেলে শাহীন তার পায়ে ধরে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে অনুরোধ করে। পরে জালালের কাছ থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বড় ভাই জানান, শাহিন তার বোনকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। মাদরাসা বন্ধ থাকায় তার বোন বাড়িতেই থাকত। শনিবার সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার বোনকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পাঁচদিন আগে শাহিন পাশের বাড়ির একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। পরে স্থানীয় গণমান্যরা সালিশ ডেকে তা মীমাংসা করেন।
দেবিদ্বার থানার এসআই মো. সোহরাব হোসেন জানান, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর ভাই মামলা করার পর থেকেই শাহিন মিয়া আত্মগোপনে ছিল। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজামেহার এলাকায় ফুফুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান জানান, ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ