পুলিশের ৭ সদস্যের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে মামলা
কুমিল্লার আদালতে এক গৃহবধূ বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের তিন এসআইসহ সাত সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে পুলিশের দাবি, ডাকাতিসহ ৯ মামলার আসামিকে গ্রেফতার করায় পরিকল্পিতভাবে এই মামলা করা হয়ছে।
বুধবার (১১ আগস্ট) কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নং আমলি আদালতে এই মামলা করেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সালমা আক্তার। তিনি ডাকাতিসহ ৯ মামলার আসামি লোকমান হোসেনের বোন।
মামলার আসামি পুলিশ সদস্যরা হলেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার এসআই সাইফুল ইসলাম, এএসআই কৃষ্ণ সরকার , এসআই জীবন কৃষ্ণ মজুমদার, এসআই কামাল হোসেন, এএসআই মতিউর রহমান এবং পুলিশ সদস্য নুরুজ্জামান ও জামাল হোসেন। এই মামলায় আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের অভিযোগে এই মামলা করা হয় বলে জানান সালমা আক্তার।
তিনি বলেন, ৩ আগস্ট সাদাপোশাকে ব্রাহ্মণপাড়া পুলিশের একটি টিম আমার ঘরে প্রবেশ করে তল্লাশি শুরু করে। এ সময় ড্রয়ারে থাকা দুই লাখ টাকা এবং দুই জোড়া কানের দুল, দুটি চেইন ও তিনটি আংটিসহ ৪ ভরি স্বর্ণালংকার এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই স্বামী আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করে। এ সময় আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল আহাম্মদ গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ন্যায় বিচারের আশায় মামলা দিয়েছি।
এদিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারকে এই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেন বিচারক বেগম মিথিলা জাহান নিপা। তদন্ত শেষে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ডাকাতিসহ ৯টি মামলার আসামি লোকমান হোসেন তার বোনের বাড়িতে আত্মগোপনে আছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে মামলার বাদী সালমা আক্তারের বসতঘরে তল্লাশি করা হয়।
এ সময় বাড়ির কয়েকজন সদস্য পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় সালমা আক্তারের স্বামী আবুল কালাম আজাদকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে কুমিল্লা অভিযান পরিচালনা করে ৯ মামলার আসামি লোকমান হোসেনকে গ্রেফতার করি।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত দায়িত্ব দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।