১৫ বছর যাবৎ বিকল ব্রাহ্মণপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন
কুমিল্লা জেলার প্রত্যন্ত অ ল ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা। এ উপজেলায় সম্ভাবনাময় অনেক কিছুই আছে। আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।এসব সম্ভাবনার মধ্যেও করোনা পরিস্থিতিতে উপজেলার প্রায় দুই লক্ষাধিক জনগনকে সেবা দিয়ে আসছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। করোনা রোগীদের সেবা প্রদান, টিকা প্রদানসহ নানাভাবে উপজেলার মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে এ সরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
হাসপাতালটি ১৯৯৮ সালে প্রয়াত মাননীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু উদ্বোধনের ৬ বছরের মাথায় প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি। ফলে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ এক্স-রে সেবা থেকে বি ত হচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটি স্থাপনের ৬ বছরের মাথায় ২০০৪ সালের ১৪ অক্টোবর মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়। স্থাপনের সাথে সাথেই এনালগ এক্স-রে মেশিন চালু করা হয়। কিন্তু ব্যাবহারের কিছুদিন পর মেশিনটি নষ্ট হলে টেকনিশিয়ানরা এনালগ এক্স-রে মেশিনটি মেরামতে ব্যর্থ হন। ফলে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ বন্ধ থাকে এক্স-রে সেবা।
হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন টেকনিশিয়ান রেডিওগ্রাফার মোঃ ইউছুফ আলী দীর্ঘদিন যাবৎ এই সেবা জনগনকে দিতে পারছেন না। মেশিনটি নষ্ট থাকায় সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। ফলে তারা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে বেসরকারিভাবে বিভিন্ন রোগ নির্নয় কেন্দ্র থেকে এক্স-রে করাচ্ছেন।
উপজেলার বড়ধুশিয়া গ্রামের স্কুল ছাত্র মেহেদী জানান, কয়েকদিন আগে মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে তার বাম হাতের পাতা ভেঙে যায়। চিকিৎসা নিতে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু হাসপাতালটির এক্স-রে মেশিনটি বিকল থাকায় ৫০০ টাকা দিয়ে বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে হয় তাকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, এনালগ মেশিনটি নষ্ট থাকায় কাঙ্খিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। শিগ্রই জেলা সিভিল সার্জন কার্য্যালয় থেকে নতুন ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন দিবে। দেওয়ার সাথে সাথেই আমরা এলাকার জনগনকে কাংখিত সেবা দিতে পারব ইনশাল্লাহ।