কুমিল্লায় স্ত্রীর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরছেন ইউপি চেয়ারম্যান
দ্বিতীয় স্ত্রীকে নির্যাতন ও যৌতুকের মামলায় কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান ওরফে শাহীন জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
কুমিল্লা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক গত ৮ সেপ্টেম্বর ওই গ্রেফতারি পরোয়না জারি করলেও তাকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
মামলার আসামি চেয়ারম্যান শাহীন জিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী আফরোজা কুসুম মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন।
আফরোজা কুসুমের দাবি, আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানাটি মনোহরগঞ্জ থানায় গেলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে শাহীন জিয়াকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। উল্টো চেয়ারম্যান জিয়া প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া জিয়া বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি দিচ্ছেন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আফরোজা কুসুম বলেন, শাহীন জিয়া আমাকে বিয়ের পর থেকে প্রায়ই যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও মারধর করেছে। আমি লজ্জা ও মানসম্মানের ভয়ে এসব কথা প্রকাশ না করে সবকিছু সমাধানের চেষ্টা করেছি। আমি তার কাছে সামাজিক স্বীকৃতি চেয়েছি, কিন্তু সে আমাকে
স্বীকৃতি দিতেও টালবাহানা করছে। স্বীকৃতি চাওয়ায় সে আমার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং প্রায়ই আমাকে নির্যাতন করে। এসব ঘটনায় গত বছর তার বিরুদ্ধ কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা দায়ের করেছি। মামলা করায় জিয়া আমাকে হত্যার চেষ্টাও চালায়, হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আমি থানায় তার বিরুদ্ধে জিডিও করেছি।
আফরোজা কুসুম আরো বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় ওই মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গত ৮ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট জারি করেছে। আমি নিজেই বিষয়টি থানার ওসি সাহেবকে জানিয়েছি। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্ত জিয়াউর রহমান ওরফে শাহীন জিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। একপর্যায়ে তাকে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার অনুরোধ জানিয়ে তার মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মনোহরগঞ্জ থানার ওসি মো.মাহাবুল কবির বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাদের কাছে গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি এখনো আসেনি। গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি থানায় পৌঁছালে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করা হবে।
সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ