কুমিল্লার টানা পঞ্চম জয়, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জয় অব্যাহত রেখেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচ শেষ ওভারে জিতে ঢাকাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। অবশ্য কুমিল্লার এই ম্যাচ জেতায় ভূমিকা ছিল দুই পাকিস্তানি তারকা হাসান আলী ও শোয়েব মালিকের। হাসান আলী বোলিংয়ে ঢাকাকে ভুগিয়েছিলেন ৫ উইকেট নিয়ে। আর ব্যাট হাতে দলকে টেনে নিয়েছেন শোয়েব মালিক। হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। এই জয়ে ৬ ম্যাচে শীর্ষে উঠে গেছে কুমিল্লা। দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে ঢাকা।
১২৯ রানের লক্ষ্য খুব বেশি বড় না হলেও শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে কুমিল্লা। বড় জুটি পায়নি শুরুতে। ৭৫ রানে হারায় ৪ উইকেট। ইমরুল কায়েস ২০ রান করলেও একাই দলকে টেনে নিতে থাকেন শোয়েব মালিক। সঙ্গ দেওয়ার মতো কাউকে পাচ্ছিলেন না। অথচ এক পর্যায়ে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৯ রান। তখন ৬ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সংগ্রহ ১২০ রান। এমন সময়ে শোয়েব মালিক শেষ দিকে দুটি চার ও একটি রান নিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। শোয়েব ৫৩ বলে অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রানে। তার সঙ্গে ৩ রানে ব্যাট করছিলেন দুর্দান্ত বল করা হাসান আলী।
ঢাকার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির ও সুনিল নারিন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে সোমবার টসে জিতে ব্যাট করে খুব বেশি পুঁজি পায়নি ঢাকা ডায়নামাইটস। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটির নেট রান রেট সবার চেয়ে বেশি। সোমবারও ব্যাট করতে নেমে তেমন বার্তাই দিচ্ছিলেন সুনিল নারিন। কিন্তু হাসান আলীর বোলিং তোপে বেশি দূর আর যেতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। ১৮.৩ ওভারে ১২৮ রানেই গুটিয়ে গেছে ঢাকা।
অবশ্য আজকের ম্যাচে দুই দলই পেস আক্রমণে শক্তি বাড়িয়েছে। আফ্রিদির জায়গায় মোহাম্মদ আমিরকে নিয়েছে ঢাকা। আর কুমিল্লার একাদশে ফিরেছেন হাসান আলী।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মনের মতো হয়নি ঢাকার। কারণ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন পাকিস্তানি পেসার হাসান আলী। একই ওভারে নিয়ে নেন দুই উইকেট। দ্বিতীয় ওভারের শুরুতে ফিরে যান ওপেনার এভিন লুইস। ৭ রানে ব্যাট করতে থাকা এই তারকাকে বোল্ড করেন পাকিস্তানি তারকা হাসান আলী। এক বল পরে একইভাবে বোল্ড করেন মেহেদী মারুফকে। ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ঢাকাকে এরপরে সামাল দেন কুমারা সাঙ্গাকারা ও ওপেনিংয়ে নামা সুনিল নারিন। এই জুটিতে ভর করেই ১৩তম ওভারে শত রান পার করে ঢাকা।
একদিক থেকে মেরে খেলছিলেন নারিন অপর দিকে ধরে খেলছিলেন সাঙ্গাকারা। ২৮ রানে ব্যাট করতে থাকা শ্রীলঙ্কান তারকাকে রান আউটের শিকার করে কুমিল্লা। তারপরে আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে থাকা নারিনকেও ফেরায় সাউফউদ্দীন। ৭৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা এই তারকার দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন তামিম ইকবাল। তার ৪৫ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৫টি ছয়। নারিনের বিদায়ের পরেই প্রতিরোধ নড়বড়ে হয়ে যায় ঢাকার। ফেরেন মারকুটে পোলার্ড (১) ও মোসাদ্দেক হোসেন (১)। পোলার্ড রান আউটে ফিরলেও মোসাদ্দেককে বোল্ড করেন হাসান আলী। থিতু হতে পারেননি জহুরুল ইসলাম ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। জহুরুলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন রশিদ খান আর ৩ রানে ব্যাট করতে থাকা সাকিবকে বোল্ড করেন সাইফউদ্দীন। এরপর লেজের দিকটাও ছেঁটে দেন হাসান আলী। বোল্ড করেন মোহাম্মদ সাদ্দাম ও আবু হায়দারকে।
৩.৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন হাসান আলী। দুটি নেন সাউফউদ্দীন ও একটি নেন রশিদ খান।