জনশক্তি রফতানিতে দেশসেরা কুমিল্লা
বিশ্বমন্দার কারণে উন্নত দেশগুলো নানাভাবে অর্থনীতির গতিকে সচল রাখতে ব্যতিব্যস্ত। তবে তার একেবারেই বিপরীতে বাংলাদেশ। সমস্যায় থাকা সেই দেশগুলোতে কর্মসংস্থান দিয়ে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ।
সবশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ থেকে ৭ লাখ ৬২ হাজার জনশক্তি রফতানি হয়েছে, যা এ যাবৎকালের রেকর্ড। ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ লাখ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শ্রম ও জনশক্তি রফতানি কার্যালয়ের উপপরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, প্রথম থেকে যেসব জেলার মানুষের মধ্যে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা ছিল, সেই থেকে কর্মীদের বিদেশ যাওয়ার একটি বৈধ প্রচলন তৈরি হয়ে গেছে।
তবে জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে কয়েক দশক ধরেই চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ জেলা আধিপত্য বিস্তার করে আছে। চলতি বছরও প্রথম স্থানে থাকা কুমিল্লা থেকে বিদেশ গেছে ৭৬ হাজার মানুষ আর দ্বিতীয় চট্টগ্রাম থেকে ৪৭ হাজার মানুষ।
কুমিল্লার শ্রম ও জনশক্তি রফতানি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘ইউনিয়ন, উপজেলা, হাটবাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন করছি। যাতে লোক সচেতন হয়, প্রশিক্ষণ নেয় এবং ভাষা শিখে তারা বিদেশে যেতে পারে।’
সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি নানা জটিলতার কারণে অন্যান্য দেশে না গেলেও শুধু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই বেশি শ্রমিক যাচ্ছে। শ্রমিক যাওয়ার সুযোগ ইউরোপের দেশগুলোতে খুবই কম। এ ক্ষেত্রে সরকারিভাবে শ্রমিক পাঠানোর নিশ্চয়তা পেলে এ সংখ্যা আরও বাড়ত বলে মনে করেন চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া।
তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে যদি কর্মসংস্থানের সুযোগ বা উদ্যোগ নেয়া হয়, তাহলে আমাদের দেশ থেকে আরও অনেকে বিদেশ যেতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিশ্বে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আয়ে বাংলাদেশ সপ্তম স্থান লাভ করে। আর দেশে আসে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ।