কুমিল্লায় এক দিনে বিএনপি-আ.লীগের কর্মসূচি, সংঘাতের শঙ্কা
একই দিনে বিএনপির কুমিল্লায় বিভাগীয় সাংগঠনিক সমাবেশ এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন উভয় দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এ দিনে উভয় দলের পক্ষ থেকে নগরী ছাড়াও আশপাশের সড়কে ব্যাপক শোডাউন করবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে ক্ষমতাসীন দলের কর্মসূচি আয়োজন করা হবে জেলা শহরের বাইরে।
বিএনপির সমাবেশে বৃহত্তর কুমিল্লার (চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ) দলীয় নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন। আগামী ২৬ নভেম্বর জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী টাউন হল মাঠে বিএনপি এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের কথা রয়েছে। তবে জেলা বিএনপির নেতারা কেন্দ্রে কথা বলে সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন।
সোমবার নগরীর একটি পার্টি সেন্টারে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদ্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা টাউন হল মাঠে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ গণসমাবেশ সফল করতে হবে।’ কুমিল্লায়ও ধর্মঘট ডাকা হলে বিকল্প উপায়ে সমাবেশে আসার আহ্বান জানান তিনি।
একই দিনে জেলায় দুটি দলের বৃহৎ শোডাউন প্রসঙ্গে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া সোমবার রাতে সমকালকে বলেন, ‘আমাদের বিভাগীয় এসব সমাবেশের তারিখ প্রায় দুই মাস আগে কেন্দ্র থেকে নির্ধারণ করা। আওয়ামী লীগ সম্মেলনের তারিখ গত মাসে নির্ধারণ করেছে, তবে আমরা সংঘাত চাই না। তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে কেন্দ্রে কথা বলব। যদি পরিবর্তন হয় হবে, না হয় ওইদিনেও সমাবেশ করা হবে।’
জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, বিএনপি ইচ্ছা করেই সংঘাতের গন্ধ খোঁজে। আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলন হবে জেলা শহরের বাইরে এবং বিএনপি সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে। তাই বিএনপি ইচ্ছা করে সংঘাতে না গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সংঘাতে যাবে না।
এ বিষয়ে রাতে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক সমকালকে বলেন, ‘বিএনপি সমাবেশ করতে চায় করুক, তারা নগরীতে সমাবেশ করতে চায়। আমরা করব শহরের বাইরে। তাই উভয় দলের নেতাকর্মীরা শান্ত থেকে কর্মসূচি পালন করলে সংঘাত হওয়ার কথা না। তবে বিএনপি চাইলে তাদের তারিখ এগিয়ে কিংবা পেছাতে পারে, এটা তাদের ইচ্ছা।’