কুমিল্লায় ছয় বছরের সাজা এড়াতে ২০ বছর আত্মগোপনে
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই গ্রামের মোসলেম মিয়া ২২ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনার মামলায় আসামি হন। ওই সময় আটক হওয়ার দুই মাস পর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন মোসলেম মিয়া। কিন্তু পরপর দুইবার হাজিরা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপর থেকে অনেকটাই আত্মগোপনে চলে যান মোসলেম মিয়া। ২০০২ সালে ওই মামলার বিচারের রায়ে মোসলেমকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায় জানার পর থেকে ছয় বছরের সাজা এড়াতে ২০ বছর আত্মগোপনে থাকেন মোসলেম।
অবশেষে কুমিল্লার চান্দিনা থানা পুলিশ বুধবার চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং থানার সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে মোসলেম মিয়াকে।তিনি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে।
জানা যায়, পরিবারের সাথে চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায় তরুন বয়সে শহরের পাঠানতলী খাঁন সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মালামাল চুরির ঘটনায় আসামী হন তিনি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় তিনি চট্টগ্রাম ডাবুলমুরিং থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হন। প্রায় দুই মাস পর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আদালতে নিয়মিত হাজিরাও দিয়ে আসছিলেন। এসময় তিনি কর্মজীবনে চট্টগ্রাম ইপিজেড-এ চাকুরী করতেন।
১৯৯৬ সালে আদালতের নির্ধারিত দুই তারিখে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। সেই থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছেন মোসলেম তিনি। ২০০২ সালে আদালত সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে ৬ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়।
২০০২ সালে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোসলেম মিয়াকে গ্রেফতারে চান্দিনা থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানা আসে। অবশেষে চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) জহিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করেন।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর চান্দিনা থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানাটি পড়ে ছিল। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে ওই আসামীর খোঁজ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে আটক করি। বৃহস্পতিবার তাকে চট্টগ্রামের বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হয়।