৭ মাসে হাফেজ হলেন ৮ বছরের মাহফুজা
মাত্র ৭ মাস সময়ের মাঝেই কোরআন হিফজ (মুখস্ত) করেছেন রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলার শিশু মাহফুজা আক্তার (৮)।এত অল্প বয়সে এবং খুব কম সময়ে পবিত্র কোরআন হিফজ করে স্থানীয়দের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সে।
শিশু মাহফুজা কালুখালি উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের মো. হামিদুর রহমানের মেয়ে। সে কালুখালি উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মোহনপুর গ্রামের মোহনপুর হালিমাতুস সাদিয়া মহিলা মাদরাসা ও এতিমখানার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। এখানেই সে পবিত্র কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশু মাহফুজা আক্তার ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ২৮ তারিখে মাদরাসায় ভর্তি হন। পবিত্র কোরআন মুখস্ত করার আগে এ মাদরাসা থেকেই মাত্র ১০ মাস সময় নিয়ে পবিত্র কোরআন দেখে দেখে, সহিহ-শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করা শেখে। এরপর ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে সে ছবক শুরু করে এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখে শেষ করে। মাত্র সাত মাস সময়ে পূর্ণ কোরআন মুখস্ত করে ফেলে সে। প্রথম দিকে সে ৫ থেকে ৭ পৃষ্ঠা মুখস্ত করলেও শেষের দিকে এসে ১৮ থেকে ২০ পৃষ্ঠা করে পড়েছে।
মোহনপুর হালিমাতুস সাদিয়া মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুর রহমান সোহান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হিফজ শুরু করার পরই আমরা মাহফুজার মাঝে মেধা আছে অনুভব করি। সে মাত্র ৭ মাসে হিফজ সম্পন্ন করেছে। তবে সে খুব ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির মেয়ে। মাহফুজার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।
তিনি আরও জানিয়েছেন, নুরানী ও নাজেরা শাখায় পড়াশোনা শেষ করতে সময় লাগে প্রায় তিন বছর। সেখানে তার সময় লেগেছে মাত্র ১০ মাস। ১০ মাস নাজরানা বিভাগে পড়ার পর কোরআনের সবক নেয় মাহফুজা আক্তার। এরপর মাত্র ৭ মাসে পবিত্র কোরআন হিফজ (মুখস্ত) করে সে। মাহফুজার আন্তরিক চেষ্টা, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের প্রচেষ্টা ও পরিবারের সহযোগিতায় আল্লাহর রহমতে সে এই মহা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। সে যেন বড় হয়ে ইসলাম ও দেশের সেবা করতে পারে। তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার।
মাদঅধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহমান সোহান আরো জানিয়েছেন, মাদরাসায় ১১৫ জন শিক্ষার্থী ও ৮ জন শিক্ষিকা ও ২ জন শিক্ষক রয়েছে। মাদরাসাটি স্থাপিত হয়েছে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের ১০ তারিখে। অত্র মাদরাসায় ২টি ঘর রয়েছে এবং ৪টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। এখানে নূরানী, মকতব, নাজেরা ও হেফজ, জামাত বিভাগ রয়েছে।আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকায় আমরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছি। আশা করছি আল্লাহ-তায়ালা আমাদের সীমাবদ্ধতা দূর করে দেবেন।