মোবাইলে শুনে এক বছরে কুরআনের হাফেজ দৃষ্টিহীন আওন
এবার হিফজুল কোরআন বিষয়ক মেগা রিয়ালিটি শো ও হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’-এর ঢাকা দক্ষিণ জোনের অডিশন শুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসেছে ১১ বছরের দৃষ্টিহীন হাফেজ মো. তালহা ইসলাম আওন। যে কিনা মোবাইলে অডিও শুনে এক বছরে কোরআনে হাফেজ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে সারাদিন ধরে চলে প্রতিযোগীদের অডিশন। আজ সকাল থেকেই ঢাকার দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন মাদরাসা থেকে শত শত হাফেজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করেছে। তাদের মধ্যেই একজন দৃষ্টিহীন হাফেজ মো. তালহা ইসলাম আওন বাবার হাত ধরে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসেছে।
জানা যায়, হাফেজ তালহা নারায়ণগঞ্জের পাগলা বাজারের ব্যবসায়ী মো. মফিজুল ইসলামের ছেলে ও যাত্রাবাড়ীর সাইনবোর্ড এলাকার মারকাজুল মদিনা মাদরাসার ছাত্র। মাদরাসাটির শিক্ষক হাফেজ জুনায়েদ বলেন, তালহা পুরোপুরি দৃষ্টিহীন। কিন্তু ও অনেক মেধাবী। মোবাইলে রেকর্ড করা অডিও শুনে শুনেই মাত্র এক বছরে হাফেজ হয়েছে সে।
তালহার বাবা মফিজুল ইসলাম বলেন, গর্ভাবস্থার মাত্র ৭ মাসেই অপরিণত অবস্থায় তালহার জন্ম হয়েছে। এরপর চিকিৎসকের অবহেলায় তালহার দুই চোখই নষ্ট হয়ে যায়। বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির উদ্যোগে ‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’ আয়োজিত হচ্ছে।
দেশের ৯টি বিভাগ থেকে সেরা তিনজন হাফেজ দ্বিতীয় রাউন্ড বা ঢাকা অডিশনে যোগ দেবেন। তিনজনকে অভিভাবকসহ ঢাকায় আনা হবে। আর ঢাকা বিভাগের দুই জোন থেকে ৯ জন করে হাফেজ দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করবে। এরপর ৪৫ জন প্রতিযোগী নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বিশুদ্ধ ও সুন্দর কুরআন তিলাওয়াতের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা। ফাইনাল রাউন্ডের জন্য পাঁচজন কোরআনে হাফেজকে বাছাই করা হবে।
প্রথম বিজয়ী পাবেন ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা। দ্বিতীয় বিজয়ী পাবেন ৭ লাখ টাকা ও সম্মাননা। তৃতীয় পুরস্কার পাবেন ৫ লাখ টাকা ও সম্মাননা। চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার হিসেবে দুজন পাবেন ২ লাখ টাকা করে ও সম্মাননা। সেরা ১০-এ থাকা বাকি পাঁচজনও পাবেন আর্থিক পুরস্কার ও সম্মাননা।