দেশে অনুশীলনের মাঠ নেই, জাতীয় দলকে কাতারে পাঠানোর পরিকল্পনা আছে আমার: সালাউদ্দিন
এবার সিশেলসের বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য জাতীয় ফুটবল দলকে সৌদি আরবের মদিনায় পাঠিয়েছিল বাফুফে। সিশেলসকে প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে যায় একই ব্যবধানে। দুর্বল সিশেলসের বিপক্ষে সিরিজ জিততে না পারায় জামাল ভূঁইয়াদের কেন সৌদিতে পাঠিয়ে অনুশীলন করানো হয়েছিল, তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল চারিদিকে। এদিকে বাফুফে সভাপতির এ সমালোচনার জবাবে বলেছেন, দেশে অনুশীলনের জন্য ভালো মাঠ কোথায়? সামনে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ।
আগামী ২১ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত ভারতের বেঙ্গালুরুতে অনুুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই ফুটবল টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টকে বলা হয় দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ এই ‘বিশ্বকাপ’ জিতেছে একবার ২০০৩ সালে। সর্বশেষ ফাইনাল খেলেছে ২০০৫ সালে। আসন্ন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে এই অঞ্চলের বাইরের এক বা দুটি দেশকে এই টুর্নামেন্টে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্তে। সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াকে কিংবা এই দুই দেশের একটিকে দেখা যেতে পারে জুনের সাফে।
সাফ বাংলাদেশের জন্য কঠিন হলেও প্রস্তুতিতে ঘাটতি রাখতে চায় না বাফুফে। সাফের আগে বাংলাদেশ দল নিয়ে পরিকল্পনা কী? জানতে চাইলে গতকাল মঙ্গলবার বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘সাফের প্রস্তুতির জন্য জাতীয় দলকে কাতারে পাঠানোর পরিকল্পনা আছে আমার। কারণ, দেশে অনুশীলনের জন্য ভালো মাঠ নেই। আমি এর আগেও কাতারে দল পাঠাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে কাতার ঘরোয়া ফুটবলে জোর দেওয়ায় ভেন্যু সমস্যা ছিল। যে কারণে, আমরা দল পাঠিয়েছিলাম সৌদিতে।’
সৌদি আরব কি সাফে খেলতে রাজি হবে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে বাফুফে ও সাফের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘আশা করা যায়। যদিও আমি এখনো সৌদির সাথে কথা বলিনি। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কথা বলেছেন। আমিও বলবো। তবে, সাফের সভায় আমি একটা বিষয় পরিষ্কার করেছি, সৌদি আসলে জাতীয় দলই আসতে হবে। সেই জাতীয় দল তারা যাদের নিয়েই তৈরি করুক। কারণ, তা না হলে সাফের মর্যাদা কমে যাবে।’
সাফের বাইরের কয়টি দেশ শেষ পর্যন্ত খেলবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা ফিফা থেকে সাসপেন্ড আছে। যদি ২০ এপ্রিলের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয় তাহলে তারা খেলবে। সেক্ষেত্রে আমরা একটা অতিথি দল নেবো। শ্রীলঙ্কা না খেলতে পারলে দুটি দল আনবো। কারণ, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৮ দেশ নিয়ে টুর্নামেন্ট করার’