কুমিল্লা মেডিকেলে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। তবে, বেঁচে আছে নবজাতক। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ফুটফুটে নবজাতকটির বয়স মাত্র দু’দিন। ভাগ্যে জোটেনি মায়ের উষ্ণ আলিঙ্গন বা আদর। কারণ, সন্তান জন্মের পর হাসপাতালেই মারা যান বরুড়ার মোগগাও গ্রামের কৃষক মোস্তফা কামালের স্ত্রী পারুল আক্তার।
সোমবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নবজাতকের জন্ম দেন পারুল। আধঘণ্টা পর হঠাৎ পেট ফেঁপে উঠলে আবারও তাকে নেয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। এরপর রাখা হয় আইসিইউতে। পরেরদিন মারা যান পারুল। স্বজনদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে পারুলের।
পারুলের এক স্বজন জানান, সেলাই খুলে তারা পানি ঢেলে ওয়াশ করেছিলো। কী কারণে করেছিলো জানি না। ওয়াশ করার পর এটা আবারও সেলাই করে তারা। এরপর, প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা তাকে ওখানে রাখে। সরকারি কোনো ওষুধও পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, পারুলের অপারেশনটি করার কথা ছিলো হাসপাতালের গাইনী ইউনিটের প্রধান শিরিন আক্তারের। তবে, অপারেশনটি করেছেন সহকারী রেজিস্ট্রার আফরোজা খানম। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলেও কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি। আর ইউনিট প্রধানের দাবি, দক্ষ হাতেই অপারেশন হয়েছে।
গাইনি ইউনিটের প্রধান ডা. শিরিন আক্তার বলেন, যিনি অপারেশনটি করেছেন তিনি আমার সবচেয়ে এক্সপার্ট ও এক্সপেরিয়েন্সড ট্রেইনি। তিনি আমার সিও। সাধারণত এই ধরনের অপারেশনগুলো তারাই করে থাকেন। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি ব্লিডিং বন্ধ করার।
এদিকে, প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান, তিন কর্ম দিবসের মধ্যে আমরা রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি। এরপর রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো বলেও জানান তিনি।