কুমিল্লা জুড়ে ডেঙ্গু আতঙ্ক
কুমিল্লায় ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে, ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। এ মশার লার্ভা পাওয়া গেছে নগরীতে। রোববার (৯ জুলাই) পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচজন ও মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন সদর হাসপাতালের সাত জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দাবি, আক্রান্তরা অন্য জেলা থেকে ডেঙ্গু বহন করে এনেছেন। তারা কেউ কুমিল্লায় আক্রান্ত হননি।
কুমিল্লা সদর (জেনারেল) হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল করিম জানান, রোববার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কেউ ভর্তি হননি। সম্প্রতি সাতজন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের সবাই পূর্ণ সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আমরা যদি একটু সচেতন হই এবং এই এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংস করি তবে খুব দ্রুত ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। মশার লার্ভা সাধারণত স্থায়ী পানিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
মুরাদনগর রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা সেফালি বেগম। তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাই ঢাকা বেড়াতে গিয়েছেন। তার এগারো বছরে ছেলে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, কুমিল্লার জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ও শাসনগাছা বাস টার্মিনালে ডেঙ্গু মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। কুমিল্লার মুরাদনগরে তিনজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
চাঁদপুরের মোহন আলী জানান, তিনি গত তিনমাসে নিজ জেলা চাঁদপুরের বাহিরে কোথাও যাননি। প্রায় দু’ সাপ্তাহ জ্বর থাকার পর জানতে পেরেছেন তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত। কোথায়, কিভাবে আক্রান্ত হয়েছেন? এ প্রশ্নে মোহন আলী বলেন, সেটা জানি না।
কুমিল্লা সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত জানান, আমাদের ২৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসে মশক নিধনের ফগার মেশিন আছে। একটি করে স্পে মেশিন দিয়েছি। সবখানে ক্যামিকেল ছিটানো হয়েছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ঈদের পর ডেঙ্গু আক্রন্ত হয়ে এ হাসপাতালে মোট পাঁচজন ভর্তি হয়েছেন। তারা কুমিল্লার বাসিন্দা। ডেঙ্গু আক্রন্ত হয়েছে ঢাকা ও চাঁদপুরে। তাদের বিশেষায়িত কক্ষে মশারির নিচে রাখা হয়েছে। পুরুষ ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ১৬ শয্যা, নারী ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ১৬ শয্যা আমরা ডেঙ্গু কর্নার প্রস্তুত রেখেছি। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না