কুমিল্লায় ‘ড্রেজার ব্যবসার দ্বন্দ্বে’ যুবককে কুপিয়ে হত্যা
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
মুরাদনগর থানার ওসি আজিজুল বারী ইবনে জলিল জানান, গত রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার কামাল্লা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুম সরকার (৪০) ওই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় জামিরুল হক (৫০) নামে আরেক ড্রেজার ব্যবসায়ী আহত হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে একই গ্রামের জামিরুল হক ও রিফাত সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। শনিবার দুপুরে জামিরুলের ড্রেজারের পাইপ ভাঙে উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানের পেছনে রিফাত ও তার ভাই মাসুমের হাত ছিল বলে সন্দেহ করেন জামিরুল।
গত শনিবার বিকালে মাসুমকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেন জামিরুল। এতে মাসুম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বলে পুলিশ জানায়।
পরে পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে দু’পক্ষকে শান্ত থাকতে বলে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার বিকালে মাঠে ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়ার পথে কামাল্লা সড়কে মাসুমের ওপর হামলা চালায় জামিরুল হক ও তার লোকজন। খবর পেয়ে মামুন সরকারের লোকজনও প্রতিপক্ষকে পাল্টা আক্রমণ করেন। দুপক্ষের সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের কোপে ঘটনাস্থলেই মাসুম সরকার নিহত হন।
সংঘর্ষে আহত হন জামিরুল হক ও তার ভাতিজা রাসেল হক।
নিহত মাসুমের ভাই মামুন সরকার বলেন, “প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ায় জামিরুলের বিরুদ্ধে শনিবার থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে এসেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।
“খেলা দেখতে যাওয়ার পথে রোববার বিকালে মাসুমের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় জামিরুলসহ তার লোকেরা। হামলায় ধারালো অস্ত্রের কোপে ঘটনাস্থলেই মাসুম মারা যান। আমরা খুনিদের বিচার চাই।”
মুরাদনগর থানার ওসি আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এখনও মামলা হয়নি। লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।