কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ার ছাত্রদের ওপর পরিবহন শ্রমিকদের হামলা
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শাসনগাছা বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় ১২জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের ২য় বর্ষের শাকিল, রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের হাসান ও আরাফাত, বাংলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের হাবিব, অর্থনীতি বিভাগের ১ম বর্ষের ইমরান, ইসলামের ইতিহাস ৩য় বর্ষের কাহহার, গণিত ৪র্থ বর্ষের রতন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৪র্থ বর্ষের জামশেদ, ব্যবস্থাপনা ২য় বর্ষের আরমান, অর্থনীতি ৪র্থ বর্ষের নিলয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২য় বর্ষের সাকিব ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাস্টার্স শেষ পর্বের সানি।
আহত আব্দুল কাহহার জানান, সোমবার বিকেলে রাস্তা পারাপারের সময় আমাকে একতা নামের বাস ধাক্কা দেয়। এতে আমি আহত হওয়ায় চালককে সাবধানে গাড়ি চালাতে বলি। এঘটনায় আমি ও আমার এক বন্ধুর ওপর ক্ষিপ্ত হন বাসচালক ও হেলপাররা। আমাদের বাসস্ট্যান্ডে আটকে রাখেন তারা। ঘটনাটি সহপাঠীদের জানালে তারা আমাদের উদ্ধার করতে আসে। এদিকে বাসচালক ও হেলপাররা ছাত্রদের প্রতিহত করতে রাস্তায় দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও ইটপাটকেল নিয়ে অবস্থান নেয়। ছাত্ররা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ওই আহত ছাত্রদের আনতে গেলে অতর্কিত হামলা করেন তারা। এসময় তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় একটি চক্র।
আহত আরেক ছাত্র রতন বলেন, আমাদের তারা টার্গেট করে হামলা করেছে। আমার কাছে বাইক বিক্রির এক লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিল। সেগুলো নিয়ে গেছে। সহপাঠীদের পাঁচটির বেশি মোবাইল নিয়ে গেছে। আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করায় আমরা রাস্তায় পড়ে থাকি। স্থানীয়রা আমাদের অটোরিকশায় উঠিয়ে দেন।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার বলেন, ভিক্টোরিয়া কলেজের ১২ শিক্ষার্থী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
একতা সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন বলেন, কলেজশিক্ষার্থীদের হামলায় আমার বাসচালকের অবস্থা খারাপ। তাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ মৃণাল কান্তি গোস্বামী বলেন, আমাদের ১২ ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। একজনের মাথায় ১২টি সেলাই লেগেছে। কারো হাত ভেঙেছে, কারো পা। আমাদের ছেলেরা রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন বলেন, শাসনগাছায় একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। এ ঘটনায় অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।