শেষের রোমাঞ্চে বরিশালকে হারিয়ে কুমিল্লার প্রথম জয়

এভাবেও ফিরে আসা যায়? হ্যা চমকপ্রদভাবে ফিরে এসেই ম্যাচ জিতল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। হারতে যাওয়ার শঙ্কায় কুমিল্লাকে রক্ষা করলেন জাকের আলি অনিক ও খুশদিল শাহ। এর আগে ইমরুল কায়েস খেলে গেছেন ৫২ রানের এক দায়িত্বশীল ইনিংস। ইমরুলের ইনিংসে চড়েই ম্যাচ জয়ের পথ খোঁজে পায় কুমিল্লা। দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে নায়ক বনে যান ক্যারিবীয় ম্যাথু ফর্ড। তার ৪ বলে ১৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জিতল কুমিল্লা।

৪র্থ উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিম আর সৌম্য সরকারের ৬৬ রানের অনবদ্য জুটিতে ভর দিয়ে বড় সংগ্রহের পথে এগোয় ফরচুন বরিশাল। তবে শেষবেলায় গিয়ে বরিশালের রানের গতি যায় থমকে। প্রথম ১৩ ওভারে ৩ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ছিল ১০৯ রান। পরের ৭ ওভারে ৬ উইকেট খুইয়ে করতে পারে ৫২ রান। তবে পুরো ইনিংস জুড়েই দুর্দান্ত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। শেষ ওভারে ব্যক্তিগত ৬৩ রানে মুশফিক ফিরলে বরিশালের ইনিংস থামে ১৬১ রানে।

তুলনামূলক বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটির উড়ন্ত সূচনা। কিন্তু মুহূর্তেই যেন বদলে গেল সাজানো দৃশ্যপট। বরিশালের লঙ্কান স্পিন উইজার্ড দুনিথ ওয়েল্লালাগে এসেই তোলে নেন জোড়া উইকেট। আগের রাতে নিউজিল্যান্ড থেকে উড়ে আসা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ। ১৪ বল খেলা রিজওয়ান ১৭ রানে ফেরত যান সাজঘরে। গোল্ডেন ডাকের শিকার তিনে নামা তাওহীদ হৃদয়।

এরপর ইমরুল কায়েসের সাথে জুটিতে লিটন যোগ করেন ৩০ রান। ধীরগতির ইনিংসে দলের টানার চেষ্টায় ব্যর্থ অধিনায়ক লিটন। ১৫ বলে ১৮ করে খালেদ আহমেদের শিকার কুমিল্লার অধিনায়ক। এরপর রোস্টন চেজকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট দখলে নেন ওয়েল্লালাগে। দ্বিতীয় স্পেল করতে এসেই ওয়েল্ললাগে পান সাফল্য। অধিনায়ক তামিমের আস্থার প্রতিদান দেন দারুণ এক ব্রেকথ্রুতে।

উইকেটের আসা-যাওয়ার মাঝে দাঁড়িয়ে রানের ফোয়ারা ছুটান ইমরুল কায়েস। ইনিংসের ১৪তম ওভারে খালেদ আহমেদকে খরচ করান ১৫ রান। ৩৯ ফিফটি হাঁকিয়ে ইমরুল কায়েস অবশ্য বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৫২ রানে। আব্বাস আফ্রিদির লাফিয়ে ওঠে আসা বল খেলতে গিয়ে সহজ ক্যাচে পরিণত হন কায়েস।

অভিজ্ঞ কায়েসের বিদায়ের পর কুমিল্লা সব আশা যখন নিভে যাবার পর্যায়ে, তখনই ত্রান-সাহায্য নিয়ে খুশদিল শাহ আর জাকের আলি অনিকের আগমন। ইমরুলকে যে ওভারে আব্বাস আফ্রিদি আউট করেন সে ওভারের শেষ দুই বলে বিশাল দুই ছক্কা হাঁকান জাকের আলি। ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কোর্টে নিয়ে আসেন কুমিল্লার এই তরুণ ব্যাটার।

শেষ বলে ২২ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় খুশদিল আর জাকেরের সামনে। আব্বাস আফ্রিদির ১৯ তম ওভারেই তুলে নেন ৯ রান। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৩। শেষ ওভারের প্রথম বলেই খুশদিল স্ট্রাইক নিতে গিয়ে রান আউটে কাটা। ওভারের বাকি পাঁচ বলের ৪ টি খেলেই জয় নিশ্চিত করে দেন ম্যাথু ফর্ড। ওভারের দ্বিতীয় বলে দুই নিয়ে, পরের দুই বলে হাঁকান ৬ ও চার। পঞ্চম বলে সিঙ্গেল বের করে উদযাপনে মাতেন ফর্ড ও জাকের। এক কথায় রোমাঞ্চকর ও অবিশ্বাস্য জয়।

আরো পড়ুন