একা বসে আছেন মাহিয়া মাহি, বাকিরা সঙ্গী নিয়ে
সময়টা ভালো যাচ্ছে না ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। মাসখানেক আগেই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভরাডুবির মুখ দেখেছেন তিনি। এরই মধ্যে সপ্তাহখানেক আগে জানালেন, নিজের সংসার ভাঙার খবর।
বর্তমানে স্বামী রাকিব সরকারের থেকে আলাদা থাকছেন এই অভিনেত্রী। যার কারণে একাকিত্বে ভুগছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে সেই খবর জানিয়েছেন মাহি।
এদিকে শুক্রবার দিবাগত রাত ফেসবুকে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। যেখানে দেখা যায়, একটি সড়কের পাশে গালে হাত দিয়ে বসে আছেন মাহি। তার পাশে বসে আছেন তিন জুটি। ছবির ক্যাপশনে মাহি লিখেছেন, ‘আজকে সন্ধ্যায় সবাই কাপল ছবি তুলছিল।’
এই ছবিতেও যেন নিজের একাকিত্বের চিত্রই বোঝাতে চাইলেন অভিনেত্রী। প্রত্যেকের পাশেই তাদের সঙ্গী থাকলেও তার পাশে কেউ নেই, সেই ছবিই প্রকাশ করলেন।
এর আগে গত শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় নিজের বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে মাহি বলেন, ‘আমি আর রাকিব খুব ভালো বোঝাপড়া থেকে বিয়ের সিদ্ধান্তে নিয়েছিলাম। কিন্তু জীবনের একটা পর্যায়ে এসে মনে হয়েছে আমাদের একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। তাই আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা আলাদা থাকছি।’
অভিনেত্রী জানান, রাকিব খুব ভালো একজন মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। সে অনেক কেয়ারিং। সবসময় আমাকে একটা ছাতার মতো আগলে রেখেছে। তবুও একটা ছাদের নিচে দু’জন মানুষ কেন ভালো নেই, সেটা কেবল ওই দুইজন মানুষই জানে। তৃতীয় কোনো ব্যক্তিও সেই সমস্যার কারণ বুঝতে পারবে না। খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। কবে আর কীভাবে হবে সেটাও দুজন মিলেই ঠিক করব।
যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত নীরব ভুমিকায় রয়েছেন রাকিব। মাহির সঙ্গে সংসার ভাঙছে কি না এ বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রাকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। এটি মাহি ও রকিবের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এর আগেও ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কয়েক বছরের মাথায় ভেঙে যায় সেই সংসার। এরপরই রাকিব সরকারের গলায় মালা দেন অভিনেত্রী। তাদের বিয়ের এক বছরের মাথায় জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তানের। যার নাম ফারিশ।