কুমিল্লায় ছাত্রলীগ নেতা লুটে নিচ্ছেন গোমতী নদীর মাটি
নদীমাতৃক দেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। আর এই নদ-নদীর কারণেই আমাদের রয়েছে সুন্দর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য । কিছু ভূমিখেকো লুটেরাদের কারণে আজ হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম তুহিনের বিরুদ্ধে গোমতী নদীর মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ছবিটি প্রথম দেখায় সারি সারি পুকুর মনে হলেও আসলে এটি গোমতী নদীরচর কাটা ডোবা।
জানা যায়, গোমতী নদীর পার ঘেঁষে অনেক ফসলি জমি ও গাছপালা থাকলেও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম তুহিনসহ একাধিক চক্রের থাবায় জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ বিলীন হয়ে নদীর বুকের সবুজচর এখন পরিণত হয়েছে ছোট ছোট ডোবায়। প্রতিদিন শত শত ড্রামট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে প্রায় লাখ লাখ টাকার গোমতী নদীর উর্ব্বর মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। চরের এসব উর্ব্বর মাটি আশপাশের ইটভাটাগুলোতে বিক্রি হচ্ছে দেদার। কয়েক বছর আগেও যেখানে নানারকমের সবজি চাষ করত কৃষকরা- সেগুলো এখন পরিণত হয়েছে ডোবা জলাশয়ে।
উপজেলার ধামঘর, গুঞ্জর, দক্ষিণ ত্রিশ, বাখরাবাদসহ বেশ কয়েকটি স্পটে গোমতি নদীর চর থেকে এই মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বহীনতার কারণে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গোমতী চরের মাটিখোকো সিন্ডিকেট। ক্রমাগতভাবে মাটি লুটের ফলে নড়বড়ে হয়ে গেছে বেড়িবাঁধ।
গোমতী নদীর চরের মাটি লুটের বিষয়ে জানতে চাইলে সফিকুল ইসলাম তুহিন মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শুধু আমি একা নই, আরও ১০-১২ জন এই মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত। তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেন।
মুরাদনগর ইউএনও সিফাত উদ্দিন বলেন, গোমতী চরের মাটিকাটা বন্ধ করতে দ্রুতই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সূত্রঃ কালবেলা