মাটির পাতিল থেকে বের হচ্ছিল কান্নার আওয়াজ, অতঃপর…

ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে মাঠে যান কৃষক হারুন। ওই সময় হঠাৎ কান্নার শব্দ শুনতে পান তিনি। প্রথমে তিনি ভাবেন এটা বিড়ালের বাচ্চা। পরে শব্দের উৎসের সন্ধানে ফসলি জমিতে নেমে পড়েন ওই কৃষক। জমিতে নামার পর খানিকটা ভেতরে যেতেই রহস্য সামনে আসে। একটি মাটির পাতিল থেকে আসছিল শব্দটি। পাতিল হাতে নিতেই চোখ কপালে ওঠে তার। মোড়ানো কাপড় খুলে দেখেন জীবন্ত নবজাতক।

শুক্রবার (১৪ জুন) ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতলী পূর্ব পাড়ায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কাজী জামাল হোসেন বলেন, স্থানীয় হারুন নামে এক কৃষক ওই নবজাতককে দেখতে পান। প্রথমে তিনি ভাবেন এটা বিড়ালের বাচ্চা। কাছে গিয়ে দেখেন নবজাতক। পরে রতনপুর গ্রামের ইউসুফের স্ত্রী ফলেজা ওই নবজাতককে কোলে নিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন। আমি তাদের কাছে সকাল থেকে পাঁচবার গিয়েছি। তারা ওই নবজাতককে হাসপাতালে নিচ্ছে না। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নেবে বলেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদ বলেন, নবজাতকের বয়স এক বা দুই দিন হবে। এক কৃষক ছাগল চরাতে জমিতে গেলে কান্নার শব্দ পেয়ে গিয়ে দেখেন এই ঘটনা। ধারণা করছি, কেউ ভোরে ওই নবজাতককে রেখে গেছে।

তিতাস থানার ওসি কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, খবর পেয়েছি। ওই নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরো পড়ুন