স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, কুপিয়ে আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন
কুমিল্লায় নিজের স্ত্রীর সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় দেখে মাথা ঠিক রাখতে পারেননি কাউছার। তাই কুপিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকারের বাঁ হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করেন তিনি।
সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া। এর আগে, রোববার (১৬ জুন) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলার বাগুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত লিটন সরকার বাগুর গ্রামের মৃত আবদুল মজিদ সরকারের ছেলে। তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বতর্মান সাধারণ সম্পাদক। অভিযুক্ত কাউছার একই এলাকার মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে এবং লিটন সরকারের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহচর বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী কাউছারের স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লিটন সরকারের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। গত বুধবার দুপুরে কাউছারের বাসায় অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান লিটন সরকার। পরে কাউছার বাসায় গিয়ে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকারকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন। এ ঘটনা লিটন সরকার তাৎক্ষণিক ধামাচাপা দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে কাউছারের স্ত্রীর কাছে সব জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে লিটন সরকারকে কয়েকদিন ধরে খুঁজতে থাকেন।
রোববার দুপুরে বাগুর বাজারে পেয়ে চাপাতি দিয়ে মাথায় কোপ দেন। তখন তিনি সরে গেলে কোপ বাঁ হাতে লাগে। এতে বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর সন্ধ্যা ৭ টায় আঙ্গুল জোড়া লাগানোর অস্ত্রোপচার শুরু হয়।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া বলেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। হামলাকারী কাউছারের সঙ্গে লিটন সরকারের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সূত্রঃ ডেইলী বাংলাদেশ