জানালার গ্রিল চুরি করে বিক্রির সময় ধরা ছাত্রলীগ নেতা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলের জানালার গ্রিল চুরি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় মোহাম্মদ জুয়েল নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। জুয়েল ব্যাংকিং ও ইন্সুইরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও উপগ্রুপ সিক্সটি নাইনের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেল বেলা শাহজালাল হল থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে রিকশাযোগে গ্রিলগুলো ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটক করেন। পরবর্তীতে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
প্রক্টর বরাবর দেওয়া মুচলেকায় ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, ‘আমি মোহাম্মদ জুয়েল, সেশন ১৭-১৮, ডিপার্টমেন্ট ব্যাংকিং ও বীমা, শাহজালাল হল, রুম নং ৩৩৬ তে থাকি। ভুলবশত কারণে পরিত্যক্ত জানালার দুটি গ্রিল অটোরিকশা যোগে বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে শাহজালাল হল হইতে বাইরে নেয়ার পথে জিরো পয়েন্ট গেটে আটকা পড়ি এবং প্রক্টর মহোদয় উপস্থিত হইলে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করিবনা মর্মে অঙ্গিকার কারলাম। যদি ভবিষ্যতে করি পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা নিবে তা আমি স্বাচ্ছন্দ্যে মানিয়া নিব।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ কর্মী মোহাম্মদ জুয়েল জানান, গ্রিল দুটো অনেক পুরনো। এগুলো কোন কাজে আসবে না ভেবে না বুঝেই নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে বিষয়টি অনেক বড় হয়ে যায় বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ পাড়ির ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন বলেন, এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আমাদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, একজন ছাত্র শাহজালাল হল থেকে জানালার কিছু গ্রিল বাইরে বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছিল। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি গার্ড আমাদেরকে ব্যাপারটি জানায়। পরে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই শিক্ষার্থী দাবি করেছে রডগুলো নষ্ট পড়ে আছে ভেবে সে বিক্রি করতে চেয়েছে। পরিত্যক্ত হোক আর যাই হোক, একজন শিক্ষার্থী কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ বাইরে নিয়ে যেতে পারে না। এভাবে চাইলেই তো কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তির যা ইচ্ছা তা করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, আসলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম বোধ থাকা উচিত কি করা যাবে আর যাবে না।