কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে তালা দিয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ফটকে তালা ঝুলিয়েছে একদল শিক্ষার্থী। অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বোর্ড চেয়ারম্যান ড. নিজামুল করিমকে।
রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে কুমিল্লা বোর্ডের অন্তর্গত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নেয়। এসময় তারা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটক ও বোর্ডের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের ভবনের ফটক আটকে দেন। এ সময় শিক্ষা বোর্ড শাখার সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়।
প্রতিবেদনটি লেখার সময় (বিকেল ৬টা) পর্যন্ত বোর্ড এলাকায় বিশৃঙ্খলা চলছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফলে অকৃতকার্যরা সকাল থেকে শিক্ষা বোর্ডে ঢুকে পড়ে। এসময় তারা শিক্ষা বোর্ডের বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের আজকের গণমিছিল ব্যানারে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। বোর্ডের নিরাপত্তারক্ষীরা এগিয়ে এসে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তারা চলে যায় বোর্ড চেয়ারম্যানের ভবনে। এসময় তারা বোর্ডের মূল ফটকটি তালা দেয়। পরে কয়েকজন প্রতিনিধি যায় বোর্ড চেয়ারম্যানের কক্ষে।
বোর্ড চেয়ারম্যান ড. নিজামুল করিম শিক্ষার্থীদের দেওয়া লিখিত অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন বলে জানিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের আশ্বাস দেন। তারা সেই আশ্বাস মেনে ফটকে এলেও নিচে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেয়নি। তারা আজই সবার পাসের ফল পেতে চান বলে জানিয়ে দেন।
চাঁদপুরের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আলামিন হোসেন বলেন, অনেকে ৭টা সৃজনশীল লিখে পাইছে ৩। আমি ফেল করার ছাত্র না। তাও ফেল দিয়েছে। এটা বৈষম্য। আমাদের বলা হচ্ছে আবার ফলের জন্য আবেদন করতে। আমরা কেন ১৫০ টাকা খরচ করব? আমরা আজই ফল চাই।
এদিকে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা তাদের বলেছি ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে। আমরা তাদের দাবির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানাব। কিন্তু তারা তা না শুনেই ফটকের সামনে বসে আছে। তারা আজই সবাই ফল চায়। সবাই পাস চায়।