শাসনগাছা ফ্লাইওভার নিয়ে হতাশ ব্যবসায়ীরা
আমিনুল ইসলাম খন্দকারঃ কুমিল্লা মহানগরীর শাষনগাছা রেলক্রসিং ফ্লাইওভার বর্তমান সরকারের কুমিল্লাবাসীর জন্য একটি বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ফ্লইওভার নির্মনের কাজ শুরু হয়, ৬৩১.২৯ মিটার দৈর্ঘ ফ্লাইওভার নির্মান কাজ শেষ হবার কথা ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের শেষে। নির্মানের সময়সীমা শেষ হবার এক বছর পার হয়ে গেলেও চালু হয়নি ফ্লাইওভারটি। নির্মানকাজের দীর্ঘ সময় পার হলেও ফ্লাইওভারটি চালু না হওয়ায় নগরবাসীর দূর্ভোগ কমছে না।
নগরীর প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত শাষনগাছা এলাকা বহুদিন ধরে যানবাহন চলাচলের অনপযোগী । শহরে প্রবেশ করেতে নগরবাসীর খুব বেগ পেতে হয় । রোগী সহ তাদেও স্বজনদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় লোকজন তাদেও গন্তব্যে পৌঁছতে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয়। শাসনগাছা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মহসিন কামাল জানান, রাস্থাঘাট খারাপ হওয়ার কারনে শাসনগাছা থেকে কান্দিরপার যেতে ১০ টাকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ৫ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।
শাষনগাছা থেকে খুব সহজে মিলছে না সিএনজি, তাই রেইসকোর্স পর্যন্ত পায়ে হেটে যেতে হয়। এদিকে রেইসকোর্স মুক্তি হসপিটাল থেকে শুরু করে শাষনগাছা মাসরুম উন্নয়ন কেন্দ্র পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে থাকা অসংখ্য ব্যবসয়ীদের অবস্থা সংকটাপন্ন।
শাষনগাছা এলাকার ফল ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ মিয়া জানান আগে সারাদিনে বেচাকেনা হত প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা, এখন সারাদিনে ৩ হাজার টাকা বিক্রয় করতে হিমসিম খেতে হয়।
মুক্তি হসপাতল সহ বহু হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দিনদিন আনুপাতিক হারে কমছে, ক্রেতা শূণ্যতায় ভুগছে নগরীর বৃহৎ শপিং মল ইর্ষ্টাণ ইয়াকুব প্লাজার ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে বহু ব্যবসায়ী ব্যবসা গুটিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে।
নগরীর অন্যতম কাঁচাবাজার বাদশাহমিয়া বাজারে কাঙ্খিত পণ্যনিয়ে হাজির হতে পারছে না ব্যবসায়ীরা নিরাশ হয়ে বাড়ী ফিরতে হয় ক্রেতাদের ফলে দিন দিন ক্রেতা সংকট তৈরী হয়েছে এ কাঁচাবাজারে।
৫৯ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এ ফ্লাইওভার কতটুকু সুফল বয়ে আনবে তা দেখার অপেক্ষায় আছে নগরবাসী।