বাংলাদেশি বান্ধবীকে ফিরে পেতে হাইকোর্টে মার্কিন যুবক

পরিচয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর বন্ধুত্ব। ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। এমন অবস্থায় হঠাৎ করেই সম্পর্কে ছন্দপতন। বাংলাদেশি অষ্টাদশী তরুণী যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হারুন আসাদ মির্জার সঙ্গে। পরে কোনোভাবেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে অবশেষে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন তিনি। বান্ধবীকে ফিরে পেতে হয়েছেন হাইকোর্টের দারস্থও। এ বিষয়ে ওই তরুণীর বক্তব্য শুনতে আগামী ২৬ জানুয়ারি মা-বাবাসহ ওই তরুণীকে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কক্সবাজার সদর উপজেলার ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মার্কিন নাগরিক হারুন আসাদ মির্জার। এরপর দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।তবে সম্পর্কের বিষয়টি তরুণীর পরিবার জেনে যাওয়ায় বাধে বিপত্তি। পরিবারের চাপে একপর্যায়ে আসাদ মির্জার সঙ্গে ওই তরুণীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তরুণীর সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে না পেরে তরুণ বাংলাদেশে ছুটে আসেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। পরে আদালত ওই তরুণীর বক্তব্য শুনতে তাকে ২৬ জানুয়ারি হাজির করতে তার বাবা-মাকে বলেছেন। এ ছাড়া কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, রুলে বাংলাদেশি ওই তরুণীকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা কেন আইনবহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, কক্সবাজার সদর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।