কুমিল্লা দেবিদ্বারে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন (ভিডিও)
দেবিদ্বার প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ৩নং রসুলপুর ইউনিয়ন এর জিন্নতপুর গ্রামে বিয়ের দাবীতে অনষন করেছে উপজেলার দেবিদ্বার মহিলা কলেজের ছাত্রী ছালমা আক্তার ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় , মিজানের সাথে দীর্ঘ ৪ বছরের প্রেম ছালমা আক্তারে। মিজান বিদেশ থাকাকালীন মোবাইলে চলে তাদের প্রেম । গত দুই বছর আগে বিদেশ থেকে এসে বিয়ে করার কথা বলে কুমিল্লার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে মিজান। সম্প্রতি সময় আবার দেশে আসে সে। তবে ছালমাকে না জানিয়ে অন্য কোথাও বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছে মিজান। এসব বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে এক পর্যায়ে মিজান তাকে ইমুতে বলে ‘বিশ্বাস না হলে আমাকে তুই আর কল দিবি না।’
বিয়ে করছে এমন সংবাদ পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে ছালমা। স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই উপায় না পেয়ে আত্মহত্যার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে একটি চিরকুট লিখেন। ব্যাগে বিষ নিয়ে নিজের ভালবাসার স্বীকৃতির জন্য রবিবার সকালে প্রেমিক মিজানের বাড়িতে ছুটে যান ছালমা। সেখানে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। এ ঘটনায় তরুণীকে নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রেমিক মিজান জিন্নতপুর প্রবাসী খোরশেদ আলমের ছেলে। তবে সকাল থেকে নিখোঁজ আছে মিজান। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ছালমা আক্তার আলোকিত সময়কে জানান , আমাদের চার বছরের সম্পর্ক এবং বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। তবে কোন কারণ ছাড়াই সম্পর্ক ভাঙ্গতে যাচ্ছে। তাই আমি সব ছেড়ে এখানে চলে এসেছি।
সাথে বিষের বোতল কেন এমন প্রশ্নের জবাবে ছালমা বলেন,বিয়ের কথা বলে কুমিল্লায় নিয়ে আমাকে নষ্ট করছে। এখন এ ছাড়া আমার কোন উপায় নেই। আমি বাবা-মা পরিবার সব ছেড়ে চলেছে এসেছি। সে যদি আমাকে মেনে না নেয় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা ছাড়া কোন উপায় নেই।
মেয়ের চিরকুটে মিজান লেখা থাকলে তবে সে এলাকায় সাদ্দাম নামে পরিচিত। এ ঘটনায় ছেলে মা সেতরা বেগম জানান, আমার ছেলেকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছেলেকে না পেলে তো এই সমস্যার সমাধান সম্ভব না।রবিবার রাত ৩.১৭ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছালমা আক্তার ছেলের বাড়িতেই অবস্থান করছে।
৩নং রসুলপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান কামরুল হাসানের ব্যবহৃত ০১৭৬৬৩৭১৭৯৫ মোবাইল নম্বরে একাধিক বার খোজাঁর পরও তাকে পাওয়া যায়নি ।
বিষের বোতল নিয়ে অনশনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া বেগম জানান , আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি এবং বিয়ের জন্য ব্যবস্থা করতে বলেছি এবং আমি বিয়েতে উপস্থিত থাকব তাও বলেছি এ বিষয়ে দেবিদ্বার সার্কেল সিনিয়র এএসপি সেলিম মোহাম্মদ শেখ জানান, বিষয়টা জেনেছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।
আরো জানতে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইন চার্জ(ওসি) মিজানুর রহমান জানান , এই বিষয়ে জানিনা ,তবে অফিসিয়ালি অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেব ।