কুমিল্লা ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, ‘ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে লেখাপড়া করানো উচিত। তাহলে নারী-পুরুষের দূরত্ব কমবে। নারী নির্যাতন কমবে। সমাজে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণ সমভাবে করা উচিত।’ নারী সদস্যের সংখ্যা বাড়িয়ে কুমিল্লা ক্লাব এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
সোমবার রাতে কুমিল্লা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, ‘একাত্তর সাল থেকে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের শুরু। সেই সময় ধর্মের নামে আল বদর, রাজাকাররা মানুষ হত্যা করেছে। জামায়াতে ইসলামীর রাজাকাররাই ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। ২০১৩-১৪ সালে তারাই মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। ’
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তারা বাংলাদেশের নাগরিক নয়। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে বাংলার মাটি থেকে নির্মূল করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা ক্লাব সভাপতি ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বক্তব্য দেন শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আরফানুল হক রিফাত, সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির আহ্বায়ক হাসান ইমাম মজুমদার ফটিক ও ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মো. আবদুল হান্নান।
অনুষ্ঠানে ১৩ গুণীজনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এর মধ্যে মরণোত্তর ১০ জন হলেন যথাক্রমে বীরচন্দ্র মাণিক্য বাহাদুর, শচীন দেববর্মন, ওস্তাদ আয়েত আলী খান, নবাব ফয়জুন্নেছা, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, অধ্যাপক অজিত কুমার গুহ, মেজর গণি,
শহীদ লে. আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম ও ডা. যোবায়দা হান্নান। জীবিত তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন জাতীয় পতাকার রূপকার শিব নারায়ণ দাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ও চাঁদপুরের চিকিৎসক বদরুন নাহার।
অনুষ্ঠানে লেজার শো, ফায়ার ওয়ার্কস, আতশবাজি ফাটানো হয়। পরে সংগীত পরিবেশন করেন মিতালি মুখার্জি ও কুন্তল ব্যানার্জি।