মেঘনায় ইউপি চেয়ারম্যানের উপড় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
মেঘনা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার মেঘনায় রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের উপড় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ও পরিষদের সদস্যবৃন্দ। গতকাল বুধবার বিকাল ৫টায় উপজেলার রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সাথে র্দীঘদিন যাবত একই ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা মো. আক্তার হোসেনের নানাহ কারণে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
সরকারের ভিশন ২০২১ লক্ষ অর্জনের অন্যতম নির্বাচনী ইশতেহার “শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ”। সরকারের সেই ভিশন নস্যাৎ করে গ্রাহকদের কাছ থেকে মিটার প্রতি ২০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাদা আদায় করে আসছে যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন। এই ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান সমর্থকরা বাধা দেয়ার জেরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী সকালে আক্তার গ্রুপ ও চেয়ারম্যান সমর্থক দু’গ্রুপে মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা থামাতে গিয়ে আক্তার গ্রুপের লোকজনের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন রাধারনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল বাতেন। হামলায় তার বাম হাতটি ভেঙ্গে যায়। তখন উত্তেজিত সমর্থকরা আক্তারকেও এলোপাতারী পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ওই ঘটনায় উভয়েই মেঘনা থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করেন।
এরই প্রতিবাদে বুধবার বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. মনির হোসেন, মেঘনা উপজেলা ছাত্র লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. নওশাদ মিয়া, মানিকারচর ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাবিবুল বাশার, স্থানীয় মেম্বার মো. জামাল মিয়া, হানিফ মিয়া মেম্বার, আব্দুর রহিম মেম্বার, মো. মোসলেম মেম্বার, তালতলীর বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. গরিব সরকার, হাফিজ মিয়া প্রমূখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আব্দুল বাতেন চেয়ারম্যান মানে গরীব ও দুঃখি মানুষের আপনজন। যিনি পরপর টানা ৩ বার ওয়ার্ড মেম্বার ও ৩ বার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। সবশেষ দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে নৌকা প্রতিক নিয়ে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন।
সমাবেশে ভূক্তভোগি এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বলেন, আমাদের নিকট থেকে বিদ্যুৎ দেয়ার নাম করে মিটার সংযোগ প্রতি ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত জোর করে নিয়েছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করাতেই আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা করে। রাধানগর, মুগারচর, লক্ষণখোলা, পারারবন্দসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে শত শত গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগের নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ করেন ভূক্তভোগি এসব অসহায় গ্রাহকগণ। এসব ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, জনগণ আমাকে বিশ্বাস করে ভোট দিছে, তাদেরকে সেবা করার জন্য। কিন্তু আক্তার ও সুমন বিদ্যুতের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট কইরা নিছে। লোকজন আমার কাছে বিচার চাইতে আসে বলেই সে আমার উপড় এ নৃশংস হামলা চালায় এবং আমার বাম হাতটা ভেঙ্গে দেয়। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমি সকালে বাজার করতে গেলে। চেয়ারম্যানের লোকজন আমার উপর হামলা করে এবং রড দিয়ে পিটিয়ে আমার একটি পা ভেঙ্গে ফেলে। বর্তমানে আমি ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছি।