কুমিল্লায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ২ প্রতারক গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগে প্রতারকদের ফাঁদে পা না ফেলার জন্য জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেনের আগাম সতর্কতার পরও একাধিক প্রতারক চক্র নিয়োগের দেয়ার প্রলোভনে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। একাধিক প্রার্থীর নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে জাকির হোসেন ও পেয়ারা বেগম নামের ২ প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার কুমিল্লা মহানগরী থেকে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মার্চ কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে ৫১৮ জন পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে একাধিক দালাল চক্র কনস্টেবল পদে চাকুরী দেয়ার কথা বলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে টাকা পয়সা লেনদেন শুরু করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কুমিল্লা ডিবির এস.আই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম এর নেতৃত্বে ডিবির এসআই সহিদুল ইসলামসহ ডিবির একটি টিম কুমিল্লা পুলিশ লাইন সংলগ্ন কুমিল্লা সরকারী কলেজের গেইট থেকে একটি প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, জেলার বুড়িচং উপজেলার বারেশ^র গ্রামের আবদু মিয়ার পুত্র জাকির হোসেন (৩০) এবং একই গ্রামের মৃত আবদুল ওহাবের স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৫০)। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানান, আনোয়ার হোসেন নামের এক নিয়োগ প্রার্থীর নিকট থেকে চাকুরী দেয়ার নামে ৩ লাখ টাকা চুক্তির পর গত ১ জানুয়ারি প্রতারক চক্রের প্রধান জেলার বুড়িচং উপজেলার ইছাপুর গ্রামের আবদুল বারেকের পুত্র, দুলাল হোসেনের (৩৬) নিকট নগরীর ধর্মসাগর পাড় এলাকায় ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। বাকী আড়াই লাখ টাকা নিতে সোমবার দুলাল হোসেন তাদের (জাকির ও পেয়ারা বেগম) পাঠালে ডিবি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম জানান, প্রতারকদের ফাঁদে পা না দেয়ার জন্য এরই মধ্যে জেলা পুলিশ সুপার মো শাহ আবিদ হোসেন নিয়োগ প্রার্থী ও তাদের অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানালেও একাধিক প্রতারক চক্র নিয়োগের মিথ্যা প্রলোভনে প্রার্থীদের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। গ্রেফতারকৃত ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পলাতক দুলাল হোসেনকে গ্রেফতার করতে পারলে হয়তো এই চক্রের আরও প্রতারণার তথ্য জানা যাবে।