বাঁশ বাড়িয়া ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কুমিল্লা ন্যাশনাল ক্লাব
সদর দক্ষিণ প্রতিনিধিঃ সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন এ শ্লোগানকে বুকে ধারণ করে প্রগতিশীল শিক্ষিত যুবকদের নিয়ে সমাজের উন্নয়নে গঠিত কুমিল্লা ন্যাশনাল ক্লাব। প্রতি বছরে ভ্রমনের ন্যায় ৯ মার্চ শুক্রবার চট্রগ্রামের বাঁশ বাড়িয়া ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমনের দিনটি ছিল ক্লাবের সদস্যদের মনে রাখার মতো একটি দিন।ভ্রমনের পুরো সময়টা ছিল আনন্দঘন মূহুর্ত। কুমিল্লা নগরীর পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ক্লাব কার্যালয় থেকে সকালে রওয়ানা হয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের হাঁইওয়ে ইন রেস্টুরেন্টে নাস্তা বিরতি,ফটো সেশন শেষে বাঁশ বাড়িয়া সী-বিচ এর উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল ক্লাব। ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক রিয়াজুল হকের পরিচালনায় দেশাত্মবোধক গান ও অন্যান্য সদস্যদের কৌতুক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বাঁশ বাড়িয়া সী-বিচ এ ক্লাব সদস্যরা। বাঁশবাড়িয়া সী-বিচ ভ্রমনটি প্রথম বার হওয়ায় সাগর পাড়ে পৌঁছার সাথে সাথেই বাঁশের খোঁজে ন্যাশনাল ক্লাব সদস্যরা। একটু সামনে গিয়েই দেখা মিলল সী-বিচ এর প্রধান আকর্ষণ ব্রিজটির। ব্রিজটি দেখতে বাঁশের তৈরী মনে হলেও প্রকৃত পক্ষে এতে বাঁশের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। যা ক্লাবের শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক তৌহিদুল ইসলামের বিশেষ পর্যবেক্ষণে বের হয়ে আসে। একটু পর দেখা ভ্রমনে আসা কুমিল্লার শাসনগাছা এলাকার আরিফুল ইসলাম এর সাথে। তার ডিএসএলআর ক্যামেরার কল্যাণে ক্লাবের সকল সদস্যদের গ্রুপ ছবি উঠানো মধ্য দিয়ে বাঁশ বাড়িয়া ভ্রমন সমাপ্তি করে পরবর্তী গন্তব্য পতেঙ্গার পথে। দুপুর তখন আড়াইটা । কোথায় দুপুরের খাবার খাওয়া ? কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিল চট্রগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জামান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে সবাই খাবে। জামান হোটেলের ঐতিহ্যবাহী কাচিছ ও চিকেন বিরিয়ানী এর সাথে বোরহানি এবং ঠান্ডা পানীয়। খাবার শেষে পতেঙ্গার উদ্দেশ্যে যাত্রা। বিকেলের পতেঙ্গা সমুদ্রের ঢেউ ও সূর্যাস্ত দেখার মাধ্যমে সমুদ্র ভ্রমন সমাপ্তি । ৯ মার্চ ছিল সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রনি’র জন্ম দিন। ভ্রমনের মধ্যেও কিভাবে রনি কে সারপ্রাইজড দেয়া যায় ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বাবু এ বিষয়টি নিয়ে খুব’ই চিন্তাত। রনিকে না জানিয়ে চট্রগ্রাম শহর থেকে চুপচাপ ভাবে কেক নিয়ে গাড়ীতে। ও এ সময় ঠান্ডা পানীয় এর জন্য সদস্য আতিফ এর দেয়া কোক ক্যান সকলের হাতে হাতে। সন্ধ্যার হালকা গরমে ঠান্ডা পানীয় প্রানের ফলে সকলের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে। সকলে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা। রাত ১২ টা বাজার ১০ মিনিট বাকি। রনির জন্ম দিনের কেক মাত্র ১০ মিনিট সময় অবশিষ্ট রয়েছে।এর’ই মধ্যে চৌদ্দগ্রামের ডলি রিসোর্ট রেস্টুরেন্টে এসে গাড়ি থামায় । তরিগরি করে সকল সদস্যদের একসাথ করে ডলি রিসোর্ট রেস্টুরেন্টে ক্লাবের পক্ষ থেকে কেক কাটার মধ্য দিয়ে রনির জন্য সারপ্রাইজড। সবশেষে ক্লাব সদস্য হাসেম এর পক্ষ থেকে দেয়া আকর্ষনীয় পুরস্কার উপস্থিত সকল সদস্যদের মাঝে বিতরন করা হয়।