ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম গ্রেপ্তার
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লার বাহ্মণপাড়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষিতা ছাত্রীর বড় ভাইয়ের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার অভিযুক্ত ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়। মক্তবে পড়তে গিয়ে ওই ছাত্রী একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি সৈয়দ আবু শাহজাহান জানিয়েছেন মঙ্গলবার ধর্ষিতার ভাই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া সিনিয়র মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বাড়ির পার্শ্ববর্তী মসজিদের ইমাম আবুল বাশারের কাছে কোরআন শিখতে প্রতিদিন মক্তবে যায়। দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস যাবৎ মক্তবে পড়াকালে ইমাম আবুল বাশার ছাত্রীকে মসজিদের ২য় তলায় ছাদে কয়েক মাস পূর্ব থেকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
গত ২০ মার্চ ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটি বাড়িতে গোপনে জন্ময়িন্ত্রণ ওষুধ খাওয়ার সময় তার ভাবি দেখে ফেলে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইমামের প্রলোভণে শারীরিক সম্পর্কের কথা জানায়। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও এলাকার মাতব্বরদের সাথে কথা বলার পর তাদের পরার্মশে ওইদিনই মেয়েটির ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে ইমামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেন। মামলার পরদিন বুধবার অভিযুক্ত ইমাম দেবিদ্বার উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানতে চাইলে বাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) সৈয়দ আবু শাহজাহান বলেন, ধর্ষণের শিকার মাদরাসা ছাত্রীদের ভাইয়ের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এসআই (উপপরিদর্শক) সুনীল চন্দ্র সূত্রধর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ইমামকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।