কুমিল্লায় কলেজছাত্র পাভেল হত্যায় গ্রেফতার ৪

মিল্লার চৌদ্দগ্রামের কলেজছাত্র পাভেল হত্যা মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার আসামিরা হলো-ফেনীর গজারিয়া কান্দি (শর্শদি) গ্রামের ফারুক আহাম্মেদের ছেলে আবু হুরাইরা অনিক, চৌদ্দগ্রামের কুলাসার গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মো. সালমান হোসেন, কুলাসার বড় বাড়ির রবিউল হক ওরপে জানু মিয়ার ছেলে নাঈমুল হক রাকিব ও ধোপাখিলা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে নাজিমুল হক জয়।
 
রোববার (৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কথা কাটাকাটির জেরে একমাস পর পাভেলকে হত্যা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ( ১ ডিসেম্বর) উপজেলার ধোপাখিলা গ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে নিহত হন তিনি।

নিহত পাভেলের মা লিপি ইসলাম বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহারনামীয় নয়জন এবং অজ্ঞাতনামা ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ঘটনায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান জানান, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামি নাঈমুল হক রাকিবের সঙ্গে একমাস আগে পাভেলের ফেনী শহরে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনা রাকিব তার বাড়ি আলকরায় এসে স্থানীয় বন্ধুদের জানায়। তখন থেকেই রাকিব ও তার সহযোগীরা পাভেলকে মারধর করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা ও সুযোগ খুঁজতে থাকে। তাছাড়া কয়েকদিন আগে তারা পাভেলের নানা বাড়িতে গিয়ে তাকে খুঁজে আসে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে পাভেল নানার বাড়ি ধোপাখিলা মনু ভূঁইয়ার বাড়ির সামনে ব্যাডমিন্টন খেলছিল। এ সময় রাকিবসহ অন্যরা তাকে হত্যার জন্য মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে একত্র হয়। পরে পরিকল্পিতভাবে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই কিশোরদের ছুরিকাঘাতে পাভেলের মৃত্যু হয়। এ সময় তার চার বন্ধু আহত হয়।

আহত কিশোর ইকবাল ও সিয়াম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং শাহাদাত হোসেন ও বিজয় ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাভেল মহিপাল সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ২য় বর্ষের ছাত্র এবং আহত কিশোররা তার নিকটতম বন্ধু।

পুলিশ সুপার জানান, মামলার প্রকৃত রহস্য পাওয়া গেছে। আমরা পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

আরো পড়ুন