বুড়িচংয়ের বারেশ্বরে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা
মারুফ আহমেদঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বারেশ্বর গ্রামে একটি প্রভাবশালী চক্র আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সম্পত্তি দখল ও বিভিন্ন শ্রেনীর ফলদ,বনজ গাছ কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঅবস্থায় জমির মালিক পক্ষের লোকজন প্রতিবাদকরায় তাদের প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে ।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার সীমান্তবর্তী রাজাপুর ইউনিয়নের বারেশ্বর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের পুত্র খন্দকার রফিকুল ইসলাম স্বপন। চাকুরীর কারণে তারা দু’ভাই অন্যত্র থাকলেও পরিবার রয়েছে বারেশ্বর গ্রামে। এই সুযোগে একই গ্রামের মৃত ফজলুল করিম খন্দকারের তিন ছেলে ইকবাল হোসেন খন্দকার , শাহিন খন্দকার ও পারভেজ খন্দকার বিভিন্ন সময় তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর অত্যাচারসহ নানাভাবে হয়রানী করে আসছিল। লিখিত অভিযোগে আরো জানান,২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারী তাদের সম্পত্তি দখলের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর দুটি লিখিত আবেদন করি। পরবর্তীতে দু’পক্ষকে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন থেকে মীমাংসার জন্য ডাকলেও অভিযুক্তরা সাড়া দেয়নি। পরবর্তীতে আদালতে ইংজ্যাকশন জারী করলেও অবৈধ দখলদাররা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সেখানে বসবাস অব্যাহত রাখে । আমি বাধা দিতে গেলে প্রাণ নাশের হুমকী দেয়। এদিকে দখলদার ওই চক্রটি বিগত প্রায় দু’বছর আগে আবারো আমাদের অন্য একটি জায়গা জোর পূর্বক দখল করে সেখানকার গাছপালা কেটে একটি মাদরাসা তৈরী করে। এদিকে গত ২৩ আগষ্ট খন্দকার রফিকুল ইসলাম স্বপন তার পরিবার নিয়ে তার মালিকানাধীন সম্পত্তিতে গাছ কাটতে গেলে ইকবাল গংরা বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের উপর আক্রমন করে। তখন প্রতিবেশীরা এসে তাদের উদ্ধার করে। এঅবস্থায় পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় থাকা খন্দকার রফিকুল ইসলাম স্বপন তার বড়ভাইয়ের স্ত্রীসহ বিষয়টি বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে পেশ করে। এরপর থানা থেকে তদন্তকারী অফিসার এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বিবাদীগণদের ডেকে মৌখিকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন এবং পরদিন ২৪ আগষ্ট থানায় দু’পক্ষকে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়। এঘটনায়ও পূর্বের মতো ইকবালগংরা উপস্থিত না হয়ে উল্টো ওই দখলীয় ভূমির বাকী গাছগুলোও কেটে ফেলে। গত ১ সেপ্টেম্বর পুনরায় রফিকুল ইসলাম থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ করলে আবারো বিবাদীদেও পরদিন (২ সেপ্টেম্বর)দু’পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে থানায় আসার নির্দেশ দেয়। ৩ সেপ্টেম্বও তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বশরীরে ঘটনাস্থলে এসে সার্ভেয়ারের উপস্থিতিতে বিএস জরিপ অনুযায়ী জমির মালিকানা দু’পক্ষকে বুঝিয়ে দিলেও পরবর্তীতে ইকবাল গংরা নির্দেশনা অমান্য করে আবারো হুমকী দিচ্ছে । ফলে বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে রফিকুল ইসলাম ও তার ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরা।