ব্রাহ্মণপাড়ায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা
আশিকুর রহমানঃ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় নবম শ্রেণী পড়ুয়া পরশমনী (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। ঘটনাটি গতকাল ২৩ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে উপজেলার মহালক্ষিপাড়া গ্রামে ঘটে। বিষয়টি জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত সহকারী মেডিকেল অফিসার এ বি এম মহিউদ্দিন। তিনি জানান, ঘটনার দিন দুপুর টার সময় পরশমনীর স্বজনরা পরশমনীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে নিশ্চিত করেন। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে, পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশের শোরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে থানায় নিয়ে আসে। খবর পেয়ে পরশমনীর আত্নীয় স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসে এবং তাদের আহাজারীতে ভারী হয়ে পড়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ। নিহত পরশমনী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহলক্ষীপাড়া শরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং সে মহালক্ষীপাড়া গ্রামের প্রবাসী সফিকুল ইসলামের মেয়ে।
এই ব্যাপারে নিহত পরশমনীর চাচা বিল্লাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গতকাল রবিবার (ঘটনার দিন) সকাল ১০ টার দিকে পরশমনীর মা চাউল এবং পরিবারের জন্য বিভিন্ন খরচ আনতে বাজারে যায়। পরে তিনি বাজার থেকে ফিরে এসে দেখে তার মেয়ে পরশমনী বসত ঘরের বাশের তীরের সাথে উড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগাইয়া আত্নহত্যা করে ঝুলে আছে। এসময় পরশমনীর মায়ের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশি লোকজন এগিয়ে এসে পরশমনীকে ফাঁস থেকে নামিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। এই ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশকে অবগত করে।
খবর পেয়ে থানার এস আই সাইফুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে পরশমনির লাশের শোরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এই সংবাদ লিখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।