ব্রাহ্মণপাড়ায় গলায় ফাস দিয়ে স্কুল ছাত্রের অত্নহত্যা
আশিকুর রহমানঃ ফজরের নামাজ আদায়ের পর নিজ বসত ঘরে গলায় ফাস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে মোঃ রাশেদুল ইসলাম (১৭) নামের দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্র। ঘটনাটি গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই গ্রামে ঘটে। পরিবারের দাবি, রোগের যন্ত্রনা সইতে না পেরে আত্নহত্যার পথ বেছে নিয়েছে রাশেদুল। সে উপজেলার শিদলাই আশ্রাফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র এবং শিদলাই গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের মোতাহের হোসেনের ছেলে।
এই ব্যাপারে নিহত মোঃ রাশেদুল ইসলামের বড় ভাই ফখরুল ইসলাম ও ছোট ভাই রাইহান সাংবাদিকদের জানান, রাশেদুল দীর্ঘদিন যাবত শ্বাস কষ্ট রোগে ভোগছিলেন এবং এই ব্যাপারে তার চিকিৎসা ও চলছিল। গত ২৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলাবার রাতে সে পচন্ড শ্বাস কষ্টে ভোগছিলেন। পরদিন (বুধবার) ভোরে মসজিদ থেকে ফজরের নামজ পড়ে বাড়ীতে এসে ঘরে ডুকে আবারো ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে তার মা মারজানা বেগম তাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য ডাকতে গেলে ঘরের ভিতর থেকে কোন সারা শব্দ না আসায় তিনি ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখে রাশেদুল বসত ঘরের তীরের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাস লাগাইয়া অত্নহত্যা করে ঝুলে আছে। এসময় তার মায়ের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে এবং তার মা গলার ফাস খুলে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্য ঘোষনা করেন। এক পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়ে থানার এস আই রাজু আহাম্মেদ সঙ্গীয় ফোর্স সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নিহত রাশেদুল ইসলামের লাশের শোরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে এবং লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এই ব্যাপারে নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ ও কাউকে স্বন্দেহ না থাকায়, ইউপি চেয়ারম্যান এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের আবেদনে নিহত রাশেদুলের লাশ বিনা ময়না তদন্তে দাফন কাফনের জন্য তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে পুলিশ।