কুমিল্লায় সাংসদ সীমার গাড়িতে হামলার অভিযোগ
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাসহ দুই প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতার স্মরণসভায় যোগদান করতে গেলে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ আঞ্জুম সুলতানা সীমার গাড়িবহরে হামলা, গুলি ও ককলেট বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকাল ৫টায় কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের কোটেশ্বর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমা শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ‘শনিবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পাঁচথুবী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যোগের কোটেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ন ম ওয়াহিদুর রহমানসহ দুই প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতার স্মরণ সভায় আয়োজন করা হয়। কিন্তু প্রশাসন কোটেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করে। পরে আমরা মুক্তিযোদ্ধা আ ন ম ওয়াহিদুর রহমানের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাই। সেখানে যাওয়ার সময় কোটেশ্বর ফরিদ মেম্বারের বাড়ি কাছাকাছি পৌঁছলে আমার গাড়ি লক্ষ করে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় ৫০ রাউন্ড গুলি এবং অর্ধশতাধিক ককলেট বিস্ফোরণ করে।’
সীমা দাবি করেন, হামলায় এক শ্রমিক লীগ নেতাসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এই হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নেয়াজ পাভেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল হক, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বাহালুলসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নেতৃত্ব দেন বলে তিনি দাবি করেন। অভিযুক্তরা কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের সমর্থিত বলে অভিযোগ করেন সীমা। তিনি মামলা করবেন বলেও জানান।
অভিযোগ অস্বীকার করে কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল-মাহমুদ শহিদ বলেন, ‘আমরা শুনেছি প্রশাসন কোটেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। সেখানে কেউ প্রবেশের নিয়ম নেই। তাহলে কীভাবে আমরা সভাস্থলে গিয়ে একটি মানুষের গাড়িতে সভায় হামলা করি। তাদের অভিযোগ মিথ্যে। এই হামলায় আমাদের কেউ জড়িত নয়।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নেয়াজ পাভেল বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগের সঙ্গে আমি জড়িত নই।’
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আবদুস ছালাম মিয়া জানান, কোটেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ১৪৪ ধারা জারির পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। কোনো ধরনের হামলার ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি।