কুমিল্লায় ছাত্রদলের সভাপতি এখন প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা
মোঃ জহিরুল হক বাবু।। ছাত্রদলের সভাপতি এখন প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা, আর এ নেতার হামলা মারধর নির্যাতন অত্যাচার ও লাঞ্ছনার শিকার আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের বহু নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের সভাপতি হালে যুবলীগের এই নেতা গড়ে তুলেন নিজস্ব এক বিশাল বাহিনী। যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী এ নেতা নিয়ন্ত্রন করছেন মাদক, চোরাকারবারি, চাদাবাজি ও টেন্ডারবাজীসহ নানা অপরাধের সাম্রাজ্য।
তার নিজস্ব টর্চার চালুও আছে। তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে চায় না।
দল বদল করে ছাত্রদল সভাপতি থেকে এসে অনুপ্রবেশ করে রাতারাতি যুবলীগে পুনর্বাসিত হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এ নেতা এখন একটি ইউনিয়নের চালকের ভূমিকায় রয়েছেন। তিনি হলেন মুন্সিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান ওরফে খোকা। তার মা জামায়াতের রুকন, ভাই সাইফুল ইসলাম শিবিরের সাথী। খোকা সময়ের সাথে ভোল পাল্টে হয়ে যান ইউনিয়ন যুবলীগের অন্যতম নেতা। মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মাদক ব্যবসা তার একক নিয়ন্ত্রেনে। তার নেতৃত্বে চলে চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি। তার রয়েছে অস্ত্রের ভান্ডার এবং বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। এ বাহিনী দিয়ে সে তার সকল অপকর্ম চালায়। পুরো এলাকাবাসীকে সে জিম্মি করে রেখেছে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নির্যাতন করে। তার কাছে মুন্সিরহাটের আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের বহু ত্যাগী নেতা কর্মী নির্যাতিত এবং কোনঠাসা হয়ে আছে। দলীয় নেতাকর্মীরা কোন কথা বলার সাহস পযর্ন্ত পায়না ।
মুন্সিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি থেকে যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী মিজানুর রহমান ওরফে খোকা নিজে ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মুন্সিরহাট ইউনিয়নের প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা মেষতলা গ্রামের পেয়ার আহম্মেদকে মুন্সিরহাটবাজারে প্রকাশ্যে ব্যপক মারধর করে। ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মাসুদকে হেনস্তা করে। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রতনকে মুন্সিরহাট বাজারে বেদম মারধর করে। মুন্সিরহাট বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নেতা লিটনকে ব্যপক মারধর করে। তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পুরো এলাকা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। সে তার বাহিনী দিয়ে সিএনজি স্টান্ড থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। তার বাহিনী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষের জমি দখল করে নেয়। সম্প্রাতি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বাসন্ডা গ্রামের আবুল কালামের মুন্সিরহাট বাজারের একটি দোকানঘর দখল করতে গেলে প্রতিবাদ করায় খোকা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আবুল কালাম ও তার ছেলেকে মেরে রক্তাক্ত করে।
এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে আবুল কালাম ও তার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে আসছে খোকা। কথিত এ যুবলীগ নেতা খোকা বাহিনী মুন্সীরহাট হাই স্কুলের জায়গা দখল করতে গেলে থানা পুলিশের সহায়তায় স্কুল কতৃপক্ষ দখলের হাত থেকে স্কুলের জমিটি রক্ষা করে। কিছুদিন আগে কথিত এ যুবলীগ নেতার বাড়িতে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা গেলে তাকে বেদড়ক মারধর করা হয়। পরে র্যাব তাকে আটক করে মামলা রজু করে। মুন্সিরহাট কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের সেক্রেটারী থাকাকালে সে মসজিদ ফান্ডের কোটি কোটি টাকা আতœসাৎ করে। মসজিদের প্রায় ২.৫ বিঘা জমি নিজে দখল করে মার্কেট নির্মান করে দোকানের পজিশন বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আতœসাৎ করে। আবার অনেকে পজিশন ক্রয় করে দোকান বুঝে পায়নি। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এ যুবলীগ নেতা দেশে ও বিদেশে নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলে দাবী স্থানীয়দের। তার ভয়ে কেহই মুখ খুলতে সাহস পায়না। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে পুরো এলাকা জিম্মি হয়ে আছে। তার এ অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে এলাকাবাসী তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান এবং দলের ভামূর্তি নষ্ট করায় দলে অনুপ্রবেশকারী এ কথিত যুবলীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবী জানান আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান খোকন বলেন, এ অভিযোগগুলো মিথ্যা, এগুলো সত্য নয়। সামাজিকভাবে বিভিন্ন বিচার আচার করতে গিয়ে অনেকের সাথে আমার বিরোধ সৃষ্ঠি হতে পারে। আমাকে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে একটি মহল বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।