বুড়িচংয়ে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি পরে পা থেতলে যাওয়া প্রদীপে’র খোঁজ নিচ্ছে না কেউ!
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মহিষমারা এলাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ গ্রুপের শ্রমিকদের অসাবধানতায় পল্লী বিদ্যুতের খু্ঁটি উত্তোলনের সময় দোকান ও এক ব্যাক্তির উপর পরেলে গুরুতর আহত ব্যাক্তিটি ও তার পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানা গেছে।
খুঁটি পরে গোটা পা থেতলে যাওয়া গুরুতর আহত ব্যাক্তি স্থানীয় বিএসএস ব্রিকস ফিল্ড কর্মচারী প্রদীপ সরকার বর্তমানে গোমতী হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রদীপ সরকারের চিকিৎসা ব্যায় বহন করতে অপারগ অসহায় পরিবারের আকুতি, ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা ব্যায় বহনের কথা বললেও কেউ নিচ্ছে না খবর। প্রদীপ সরকারের স্থানীয় বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে। সে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ব্রিকস ফিল্ডে কর্মরত আছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি দুপুরে ব্রিকস ফিল্ডের কাজের ফাঁকে মহিষমারা এলাকার হাবিবুর রহমানের এর দোকানে চা পান করতে যান। এসময় পাশেই কোন প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি উত্তোলনের কাজ করছিলো নির্মাণ গ্রুপের শ্রমিকরা, পল্লী বিদ্যুত কর্মকর্তা ছিদ্দিকুরের তদারকিতে । তাদের অসাবধানতার কারনে বিশাল সিমেন্টের খুঁটিটি আচমকা হাবিবুর রহমানের দোকানের একাংশ ভেঙ্গে প্রদীপ সরকারের উপর এসে পরে। এতে তার একটি পা পুরোপুরি থেতলে বিভিন্ন স্থানে ১০/১২ টি স্থানে হাঁড় ভেঙ্গে যায়। এরপর স্থানীয় এলাকাবাসী ও ব্রিকস ফিল্ডের মালিক সুখেন সরকারের সহায়তায় চিকিৎসা চালিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে তার পায়ে দুটো অপারেশন সহ চিকিৎসা বাবদ প্রায় লক্ষাধীক টাকা খরচ হলেও পল্লী বিদ্যুৎ ও নির্মাণ গ্রুপ কোন যোগাযোগ বা চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছে না।
দুই মেয়ে মা ও স্ত্রী নিয়ে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি প্রদীপ সরকারের চিকিৎসা চালানো কষ্টস্বাধ্য হয়ে পরেছে। অর্ধাহারে অনাহারে রয়েছেন জানিয়ে প্রদীপ সরকারের বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী কান্না জড়িত কন্ঠে প্রতিবেদক কে বলেন, তাৎক্ষণিক ভাবে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে চিকিৎসার সকল খরচ বহন করার আশ্বাস দিলেও পল্লী বিদ্যুত বা ঠিকাদারদের কেউ আর যোগাযোগ করেনি। প্রদীপ সরকারের চিকিৎসার জন্য আরো অনেক অর্থের প্রয়োজন। যাদের অসাবধানতার কারনে এই দুর্ঘটনা তারা সহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তা প্রার্থনা করেন ।
কুমিল্লা পল্লী বিদুৎ সমিতি ২ এর ডিজিএম ফখরুল ইসলাম বলেন, নির্মাণ প্রকৌশলী গ্রুপের শ্রমিকরা নিরাপত্তা নিয়েই কাজ করছিলো। কাজের সময় একটি সিএনজি এসে ঠেস দেয়া বাঁশে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পোরম্যান খাদেমুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত কে দেখে ১০ হাজার টাকা দেন। এরপর আবারো তাকে হাসপাতালে দেখতে যান এবং খোঁজ খবর নেন।